মিনারা হেলেন ইতি/বিপি, নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মুক্তি পেয়েছে ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের অভিনীত এবং পরিচালক এস এ হক অলিক পরিচালিত ‘গলুই। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ জুলাই) নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকা মাল্টিপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো মুক্তি পেয়েছে ‘গলুই’।
বায়স্কোপ ফিল্মসের পরিবেশনায় সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্রে মাসব্যাপী প্রদর্শন হবে। ২১ জুলাই পর্যন্ত চারটি করে মোট ২৮টি শো চলবে গলুই সিনেমার। এছাড়া মাসব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যেও সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে।
সিনেমা মুক্তি প্রসঙ্গে বায়োস্কোপ ফিল্মসের সিইও ড. রাজ হামিদ তার প্রতিক্রিয়ায় জানান ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমরা চেষ্টা করছি বাংলা সিনেমাকে বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দিতে, আমরা চাই সুস্থ চলচ্চিত্র, সুস্থ বিনোদনে জয় হোক সর্বত্র। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এ চলচ্চিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে রিলিজ হয়েছে বায়োস্কোপ ফিল্মস।
‘গলুই’ ছবিতে আছে ঐতিহ্যের ছোঁয়া।
‘গলুই’ ছবি সম্পর্কে শাকিব খানের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্বায়ন আর প্রযুক্তির প্রভাবে অনেকটাই বিলুপ্তির পথে আমাদের গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি। ফলে নতুন প্রজন্ম নিজেদের সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে। আমি মনে করি, শেকড়কে না জানলে সামগ্রিকভাবে জাতির উন্নয়ন অসম্ভব। এ জন্যই বোধ হয় বিজ্ঞজনেরা বলেন, ‘সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনের দর্পণ। সংস্কৃতি প্রতিটি ব্যক্তি, জাতি ও দেশের প্রকৃত পরিচয় বহন করে।
ঈদে মুক্তি পাওয়া তার নতুন সিনেমা ‘গলুই’-তে শেকড়ের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। হারিয়ে যেতে বসা লোক ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিকে এই সিনেমায় তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা। ‘গলুই’ একটি চমৎকার মৌলিক গল্প ও হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো সিনেমা রোম্যান্টিক গল্প সহজ সরলভাবে উঠে এসেছে এই সিনেমায়। এতে আছে প্রতিটি বাঙালির শেকড়ের গল্প, আরও আছে নৌকা বাইচের মতো প্রায় বিলীন হতে যাওয়া হারানো ঐতিহ্য।
গলুই হচ্ছে ২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত একটি রোমাঞ্চকর ঘরোয়া চলচ্চিত্র যেটি পরিচালনা করেছেন এস এ হক অলিক এবং প্রযোজনা করছেন খোরশেদ আলম খসরু। চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুপারস্টার শাকিব খান, পূজা চেরি এবং আজিজুল হাকিম। চলচ্চিত্রটিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, সুচরিতা, আলী রাজ, ঝুনা চৌধুরী, শামু চৌধুরী। জামালপুরের যমুনাচর ও টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সুন্দর মনোরম পরিবেশে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণ করা হয়েছিল।
Discussion about this post