পিবিআই প্রধান, অ্যাডিশনাল আইজিপি, জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক
নির্দেশনায় পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার জনাব নাইমা সুলতানা’র নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) জসিম উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ও
ফোর্স সহ পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো এর আভিযানিক দল কর্তৃক পুলিশি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ইং ১৮/০৭/২০২২ তারিখ ১২.৫০ হইতে ১৩.৫০
ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে বায়েজিদ থানাধীন বটতল নতুন মাজার ও টেক্সটাইল মোড় এলাকা হইতে অভিযুক্ত আসামী ১। মোঃ সাহাব উদ্দিন (২৫).
পিতা-তাজুল ইসলাম, মাতা আনোয়ারা বেগম, সাং-দক্ষিণ শুলকিয়া ইসমাইল নগর, থানা- সদর, জেলা-নোয়াখালী, বর্তমানে বটতল নতুন মাজার,
মাসুম কোম্পানীর কলোনী, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী, জেলা-চট্টগ্রাম। ২। মোঃ মজিবুর রহমান (৫২), পিতা-মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক, মাতা-রাবেয়া
খাতুন, সাং-আঠার বাড়ী, পো-আঠার বাড়ী, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমানে-শেরশাহ বায়েজিদ বোস্তামী, থানা-বায়েজিদ বোস্তামী,
জেলা-চট্টগ্রাম। ৩। মোঃ ওমর ফারুক গ্রঃ পারভেজ প্রঃ মনির উদ্দিন (৪০), পিতা-নুর মোহাম্মদ সিকদার, মাতা-আলেয়া বেগম, সাং-চর রঘুনাথ,
থানা-নাজিরপুর, জেলা-ফিরোজপুর, বর্তমানে-পোর্ট কলোনী, ০৪নং রোড, ইউসুফ জামিদারের ভাড়াটিয়া, থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম’গণকে গ্রেফতার
করা হয়। তৎপরবর্তীতে ধৃত আসামী সাহাব উদ্দিনের স্বীকারোক্তি মতে জাল ডকুমেন্ট সহ চট্টমেট্রো-থ-১৩-২০৪৯ নম্বরযুক্ত সিএনজি অটোরিক্সা উদ্ধার
পূর্বক জব্দ করা হয়।
.
বাদী জনৈক আবুল হাসেম, পিতা-মৃত আব্দুল গাফফার সাং-উত্তর অলিপুর, মিজি বাড়ী, থানা-হাজীগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, বর্তমানে-উত্তর
বাগঘোনা, ১৪নং ওয়ার্ড, কাসেম ভিলা, থানা-খুলশী, জেলা-চট্টগ্রাম গত ইং ১৮/০৭/২০২২ তারিখ অভিযোগ পূর্বক পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে
উপস্থিত হয়ে জানান যে, ইং ১৭/০৭/২০২২ তারিখ তাহার মালিকানাধীন সিএনজি অটোরিক্সা চট্টমেট্রো-থ-১৩-২০৪৯ তাহার ড্রাইভার জনৈক মোঃ
বাবুল চালানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে গিয়ে আর ফিরে আসে নাই। রাত ০৮.০০ ঘটিকা পর্যন্ত সিএনজি নিয়ে ড্রাইভার বাবুল ফেরত না আসায় সম্ভাব্য সকল
জায়গায় খোঁজ করা হয়। কিন্তু ড্রাইভার বাবুল ও সিএনজিটি না পাওয়ায় পরবর্তীতে বাদী জনৈক আবুল হাসেম আইনী সহায়তার জন্য পিবিআই,
চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ে আসেন। পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো এর অফিসার এসআই (নিঃ) জসিম উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ বিষয়টির ছায়া তদন্ত
করতে থাকে। তদন্তের এক পর্যায়ে জানা যায় যে, বদলী ড্রাইভার বাবুল একজন প্রতারক চক্রের সদস্য। সিএনজি মালিকের মনে বিশ্বাস জন্মানোর
জন্য নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স ও এনআইডি এর ছায়াকপি মালিকের নিকট জমা দিয়ে কয়েকদিন পূর্ব হতে সিএনজিটি সে চালানো শুরু করে। ইং
১৭/০৭/২০২২ তারিখ প্রতারণামূলকভাবে তার নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য সিএনজি মালিকের নিকট হতে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও
এনআইডির কপি নিয়ে যায় এবং সিএনজি গাড়ি সহ নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এরই মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, প্রতারক চক্রের সদস্য
সাহাবউদ্দিন সিএনজিটি বদলী ড্রাইভার বাবুল এর নিকট হতে নিয়ে জাল কাগজপত্র সৃজন এর মাধ্যমে জনৈক জাহাঙ্গীরের নিকট বিক্রয়ের চেষ্টা
করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে আসামী সাহাব উদ্দিনকে মালিকানার জাল কাগজপত্র ও সিএনজি অটোরিক্সা চট্টমেট্রো-থ-১৩-২০৪৯ সহ হাতে নাতে
গ্রেফতার করা হয় এবং তার স্বীকারোক্তি মতে অপর সহযোগি আসামী মোঃ মজিবুর রহমান (৫২) ও মোঃ ওমর ফারুক প্রঃ পারভেজ প্রঃ মনির উদ্দিন
(৪০)’দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত ঘটনায় আবুল হাসেম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে খুলশী থানার মামলা নং-১৬, তারিখঃ১৮/০৭/২০১২ইং,
ধারা-৪০৭/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪১১/১০৯ পেনাল কোড দায়ের করা হয়। মামলাটি পিবিআই, হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা এর নির্দেশনা মতে বর্তমানে
পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো এর এসআই (নিঃ) জসিম উদ্দিন তদন্ত করছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামীরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। উক্ত চক্রের সদস্যরা চট্টগ্রাম মহানগর সহ আশেপাশের
এলাকায় বিভিন্ন সিএনজি ড্রাইভার এর মালিককে বিশ্বাস জন্মিয়ে ড্রাইভার হিসাবে নিয়োগ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে কৌশলে সিএনজি অটোরিক্সার ভুয়া
ও জাল মালিকানার কাগজপত্র সৃজন করিয়া তাহা অপর পক্ষের নিকট বিক্রয় করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়। প্রতারক চক্রের সহযোগি অপরাপর
আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়টি চলমান রহিয়াছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ইং ১৯/০৭/২০২২ তারিখ বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত,
চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাঃ এসআই (নিঃ) মোঃ জসীম উদ্দিন, পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো
তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা ও পিবিআই (চট্টগ্রাম মেট্রো) ইউনিট ইনচার্জঃ নাইয়া সুলতানা, পুলিশ সুপার, পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো।
Discussion about this post