বন্দর নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
“বিভিন্ন রাস্তা, ফুটপাত ও ড্রেনের উপরে ইট, বালি, কংকর, লৌহজাত দ্রব্য, নির্মাণ সামগ্রী, অস্থায়ী দোকান ও দোকানপাটের মালামাল এবং কাঁচা বাজার বসিয়ে সর্বসাধারণের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা কোনোক্রমে বরদাস্ত করা হবে না।”
তিনি বলেন, “এইসব কর্মকাণ্ড পরিবেশ দূষণ এবং নগরীর সৌন্দর্যহানির সামিল, যা নাগরিক স্বার্থের পরিপন্থী ও বেআইনী। এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে সিসিসি।”
“এই অভিযান চলাকালে রাস্তা, ফুটপাত ও সিসিসি’র জায়গার উপর কোন ধরনের স্থাপনা পাওয়া গেলে মালামাল জব্দ ও জেল-জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
নগরীর হোটেল, রেস্তোরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টারের বর্জ্য অপসারণের জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, “যত্রতত্র ময়লা ফেলে নগর পরিবেশকে কোনোক্রমেই ব্যাহত করতে দেয়া যাবে না। তাই নগরীর হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কমিউনিটি সেন্টারের মালিকদের নিয়ে বৈঠক করুন।”
সভায় নাছির ‘মেয়র হেলথ কেয়ার কার্ড’ বিতরণের কথা উল্লেখ করে এখনো যারা তালিকা জমা দেননি তাদেরকে আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তা জমা দিতে বলেন।
তিনি বলেন, “সিসিসি’র গ্রাউন্ড লেভেলে জনবল কমে গেছে। অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়ে সকলকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে হবে। তাই মাঠ পর্যায়ের সুপারভাইজার সঠিকভাবে কাজ তদারকি করছে কিনা তা দেখভালের দায়িত্ব উপসহকারী প্রকৌশলীদের। আর উপসহকারী প্রকৌশলীরা মাঠ পর্যায়ের কাজ সঠিকভাবে তদারকি করছে কিনা তার দেখভালের দায়িত্ব নির্বাহী প্রকৌশলী ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর।
“তাই নিজেদের মধ্যে সমন্বয়টা নিবিড়ভাবে করতে হবে। ঠিকাদারদের করুণা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই। তাদের কাছ থেকে কার্যাদেশ মতে শতভাগ কাজ আদায় করতে হবে। কাজের গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস করা যাবে না।”
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে উপলক্ষ্য করে যত্রতত্র জাতির পিতার ছবি, ম্যুরাল ও ভাস্কর্য স্থাপন করা যাবে না। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তদারকি করতে হবে