আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: প্রেম মানে না কোন বাধা, নেই প্রেমের কোন জাত বেধাবেদ। প্রেমের টানে ছুঁটে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ১৯ বছরের এক যুবতী।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের সিকন্দরপুর গ্রামে ওই তরুনী গণধর্ষণের শিকার হন। তার ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার সরাইল থানার শাহবাজপুরের জাদবপুর গ্রামে।
এঘটনায় শুক্রবার (৫ আগষ্ট) বিকেলে ধর্ষিতা যুবতী বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৫ জনকে আসামী করে মামলা (নং-০৪(৭) ২২) দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের সিকন্দরপুর মাইজগাঁও গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে মো. জাহাঙ্গীর (৩২), একই গ্রামের তছর মিয়া চৌধুরীর ছেলে সাইফুর রহমান চৌধুরী রানা (৩৮) ও গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের পূর্ব ব্রাহ্মনগ্রাম গ্রামের আকলু হোসেন লুদু মিয়ার ছেলে মো. কামাল হোসেন (৩৪)।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, প্রায় বছর পূর্বে মোবাইল ফোনে আলাপ চারিতায় পরিচয় ওই যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয় ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের চাতলপাড় এলাকার রুবেল নামের এক যুবকের।
এরই সূত্রে রুবেল বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তরুনীকে বুধবার (৩ আগষ্ট) বিকালে সিকন্দরপুর গ্রামে আসতে বলে। তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে যুবতী বাড়ি ছেড়ে রুবেলের কাছে আসে। এরপর রুবেলসহ অজ্ঞাত আরো একজন এবং গ্রেফতারকৃতরা নির্জন স্থানে জোরপূর্বক পালাক্রমে রাত ভর যুবকীর হাত বেধে ধর্ষণ করে।
ঘটনার পর ভোরবেলা বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) আসামীরা তরুনীর ব্যবহৃত বিশ হাজার টাকা মূল্যের এ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন ও পাঁচ আনা ওজনের ২টি স্বর্ণের দুল এবং নগদপাঁচ হাজার টাকা নিয়ে ছিনিয়ে নেয়। তারা তাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পরে কয়েক যুবকের সহায়তায় সে ওসমানীনগর থানায় হাজির হয়ে মামলা দায়ের করে।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নির্যাতিত যুবতীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর তিন ধর্ষক গ্রেফতার হয়েছে। পলাতকদেরও গ্রেফতাররে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
Discussion about this post