টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নে শমসের ফকির কলেজে (সহ:গ্রন্থাগারিক)সহঃ লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সাইদুল ইসলাম ও বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মো. লোকমান তালুকদারের বিরুদ্ধে।
জানাযায়, ২০১৯ সালে ভুয়াপুর উপজেলার নিকরাইল শমসের ফকির কলেজে সহঃ লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগের জন্য দৈনিক সমকাল ও দৈনিক মজলুমের কন্ঠ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিলে ওই পদে মোট ৫ জন প্রার্থী আবেদন করেন এবং পরিক্ষায় অংশগ্রহন করেন। আবেদন কৃতরা হলো ভুয়াপুর উপজেলার নলছিয়া পুর্ণবাসন এলাকার আব্দুস ছবুরের মেয়ে আমিনা খাতুন,কালিহাতী উপজেলার আনালিয়া বাড়ি গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন, একই উপজেলার আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে আনোয়ার হোসেন,আইসড়াবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে এম এ মান্নান ও ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. জুয়েল মিয়া।
সঙ্গত কারণে নিয়োগ পরিক্ষার পর মৌখিক(ভাইবা) পরিক্ষা হয় ২০২১ সালে। নিয়োগ পরিক্ষায় এবং মৌখিক পরিক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন আমিনা খাতুন, দ্বিতীয়স্থান অর্জন করেন ফাতেমা খাতুন ও তৃতীয়স্থান অর্জন করেন আনোয়ার হোসেন।
একাডেমিক ও লিখিত পরিক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম স্থান অধিকার করায় আব্দুস ছবুরের কণ্যা আমিনা খাতুনকে সহ:গ্রন্থাগারিক শুন্য পদে সাময়িকভাবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন বিষয় বিশেষজ্ঞ ও ডিজি প্রতিনিধি। কিন্তু সাবেক অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম ও বাংলা বিষয়ের প্রভাষক লোকমান তালুকদারের পছন্দের প্রার্থী ফাতেমা খাতুন দ্বিতীয় হওয়ায় ওই নিয়োগ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে সহঃগ্রন্থাগারিক পদটি এনটিআরসির হাতে চলে যাওয়ায় এতদিন পরে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন ফকিরকে ভুল বুঝিয়ে নতুন করে প্রথম স্থান অর্জনকারী আমিনা খাতুনকে বাদ দিয়ে বিপুল টাকার আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে আগের তারিখেই নিয়োগ হয়েছে মর্মে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী ফাতেমা খাতুনকে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা চলছে।
এ বিষয়ে নিকরাইল শমসের ফকির কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার জানান, কলেজের সহ:গ্রন্থাগারিক(লাইব্রেরিয়ান) পদে নিয়োগকালীন সময়ে আমি অধ্যক্ষ পদে ছিলাম না। তবে এ পদে আমিনা খাতুন নামে এক পরিক্ষার্থী প্রথম হয়েছিল বিষয়টি আমি জানি এবং নিয়োগ বন্ধও হয়েছিল সেটাও জানি। দীর্ঘ দুই বছর পর হঠাৎ বাংলা বিষয়ের প্রভাষক মো. লোকমান তালুকদার নিয়োগ লিখিত পরিক্ষায় দ্বিতীয় হওয়া ফাতেমা খাতুনের বেতনের আবেদন করবে বলে আমার কাছে একটি প্রত্যায়ন পাঠালে আমি বিস্মিত হই।
তিনি জানান ওই কাগজে আমি স্বাক্ষর করতে পারিনা কারন আমি নিজে উপস্থিত থেকে ওই নিয়োগের লিখিত পরিক্ষা নিয়েছি এবং আমি জানি লোকমান তালুকদারের প্রার্থী ফাতেমা খাতুন প্রথম হয়নি।
তিনি আরও জানান,সহঃ গ্রন্থাগারিক পদটি এখন এনটিআরসি নিয়োগ দেবে তাই আমি এই বিষয়ে কোন প্রত্যায়ন দিলে আইনগত জটিলতায় পড়তে পারি বলে তিনি জানান।
শমসের ফকির কলেজের প্রভাষক অভিযুক্ত লোকমান তালুদারের নিকট ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে নিকরাইল শমসের ফকির কলেজে পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. স্বপন ফকিরকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Discussion about this post