বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ অনুশীলন ‘অপারেশন বিজয় গৌরব’ প্রত্যক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৬৬ পদাতিক ডিভিশন এই অনুশীলনের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার উপকূলীয় দ্বীপ স্বর্ণদ্বীপে প্রধান অতিথি হিসেবে এই অনুশীলন প্রত্যক্ষ করেন।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর সদস্যরাও প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তিন বাহিনীর সম্মিলিত এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেন।
আধুনিক ট্যাংক, এপিসিএস, মিগ ফাইটার প্লেন এবং তিন সশস্ত্রবাহিনীর এমআই হেলিকপ্টারগুলো অনুশীলনে অংশগ্রহণ করে। যেখানে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী এবং শত্রুবাহিনীর মধ্যে ছদ্ম যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে মহড়া সমাপ্ত হয়।
২২২ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব শত্রুদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর বিজয় অর্জনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বিজয়ে তাদের অভিনন্দন জানান।
স্থানীয় সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর সচিব এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপে (পূর্বের নাম জাহাইজ্জার চর) পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল নজরুল ইসলাম এবং ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী।
পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেনেন্ট জেনারেল মো. শামসুল হক এবং প্রকৌশল বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান দ্বীপের উন্নয়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণদ্বীপে সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে নির্মিত ও বাস্তবায়িত তিনটি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার, পরিকল্পিত বনায়ন প্রকল্প এবং এক মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
Discussion about this post