বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে এর দাম সমন্বয় করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যখনই বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমবে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করবো, সেটাও আমার নির্দেশ রয়ে গেছে।
রোববার আওয়ামী লীগের আটটি বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকগণের সঙ্গে গণভবনে আলোচনায় সূচনা বক্তব্য প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সমসাময়িক সংকট কাটাতে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হবার পাশাপাশি উৎপাদন কমিয়ে আনায় তার সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, হয়তো আর কিছুদিন আমাদের কষ্ট করতে হবে। আমাদের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুতের এই সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আগেও বলেছি, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে—রাশিয়াকে শায়েস্তা করার জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, শায়েস্তা হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু আমরা নই, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ প্রত্যেকটা মহাদেশের মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জিনিসের ওপর প্রভাব পড়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো কিছু লোক থাকেই, প্রয়োজন-অপ্রয়োজনে খামোখা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়, ওই ছুতা ধরে— সেটা হচ্ছে কিছু কিছু। হঠাৎ এত দাম তো বাড়ার কথা নয় প্রত্যেক জিনিসের।
তিনি বলেন, আমাদের বিরোধীরাও একটা সুযোগ পাচ্ছে। তারা আন্দোলন করছে। সেটা করুক, আমি তো চাচ্ছি, আমি নির্দেশ দিয়েছি— তারা আন্দোলন করছে, করতে দাও। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করবে, আমি আসতে দেব। খবরদার, তাদের কাউকে যেন গ্রেপ্তার করা না হয়, বিরক্ত করা না হয়। তারা আন্দোলন করতে চায়, করুক, অসুবিধা কী?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করছি, সেটা দেশের মানুষ জানে ও বোঝে। বিরোধী দল সুযোগ যখন পাচ্ছে, সেটা কাজে লাগাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা যদি বেশি করতে চায়, এর প্রভাবে তো দেশের মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এটাও তাদের বোঝা উচিত।
সূত্র : যুগান্তর
Discussion about this post