বন্দরে কাস্টম কর্মকর্তাদের সই জালিয়াতি করে গভীর রাত্রে খালাস কালে নিরাপত্তা বিভাগ আটক করে

চট্টগ্রাম কাস্টম কর্মকর্তাদের সই জাল করে ৭ কনটেইনারের একটি চালান থেকে ২ ট্রাক পণ্য খালাসের পর বাকিগুলো আটক করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে জানান, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ১ নম্বর জেটি থেকে ২টি ট্রাক পণ্য বোঝাই করে বন্দর ছেড়ে যায়। এরপর  তৃতীয় ট্রাকটির নথি পরীক্ষার সময় বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তাদের সই জাল বলে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এরপর পণ্য বোঝাই আরও ৫টি ট্রাক আটক করা হয়। বন্দর ছেড়ে যাওয়া দুইটি ট্রাক ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আবিদ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান ফলস সিলিং ঘোষণায় ৭ কনটেইনার পণ্য আমদানি করে। কিন্তু তাদের লোকজনের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা। এ সময় সই জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, সই ও সিল জাল করে বন্দর থেকে একটি চালান খালাসের সময় নিরাপত্তা কর্মীরা আটক করেছে বলে জেনেছি। বিষয়টি কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা, আনস্টাফিং শাখাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখভাল করছেন। যে দুই ট্রাক পণ্য বেরিয়ে গেছে সেগুলো আনারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ৭টি কনটেইনারের নম্বর, লোকেশন, আইজিএম, বিলঅব এন্ট্রি (যদি থাকে), পণ্যের ঘোষণা, প্রাপ্ত পণ্য ইত্যাদি সব খতিয়ে দেখে যদি অনিয়ম পাওয়া যায় তবে আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯