আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: গত কয়েক দিনের সিলেটের চা বাগানগুলোতে ছিলনা কোন কর্যক্রম। তোলা হয়নি চা পাতার কুড়ি এতে বাগনে দেখা দেয় সবুজে সুবজে চেনা রূপ। আন্দোলনের পর চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণের পর ধর্মঘট শেষে রোববার (২৮ আগষ্ট) বাগানের ছুটির দিনে আংশিক কাজে যোগ দেন। সোমবার থেকে পুরোদমে কাজে যোগ দিয়েছেন চা-শ্রমিকেরা। এতে ফের কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে প্রতিটি বাগান।
সিলেট জেলার ২২টি,মৌলভীবাজারের ৯২টি ও হবিগঞ্জের ২৩টি বাগান সোমবার যেন নবরূপ পায়। শ্রমিকের পাশাপাশি মালিকরাও এতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বেশ কিছু চা-বাগান ঘুরে শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা গেছে। বাগানগুলোতে টানা ১৬ দিন পাতা না তোলায় চা-পাতাগুলো বেশ বড় ও শক্ত হয়ে গেছে। শ্রমিকরা হাত দিয়ে দুটি পাতা একটি কুঁড়ির পাশাপাশি সেই শক্ত ও বড় হয়ে যাওয়া চা-পাতা গুলো তুলে কারখানায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন।
শ্রমিকরা বলেন, ১৬ দিন পরে বাগানে ফিরে খুব ভালো লাগছে। তবে পাতার অবস্থা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে। যে পাতা গুলো আড়াই কুড়ি হলে তোলা হয়, সেই পাতায় এখন ২০ থেকে ২২ কুড়ি হয়েছে। যে পাতা গুলোর বয়স বেশি হয়েছে সেগুলো ফেলে দিতে হবে। চা পাতায় আমাদের ভালোবাসা আর আবেগ। বাংলাদেশে চা শিল্প টিকিয়ে রাখাটা আমাদেরই দায়িত্ব। যেহেতু এখন চায়ের ভরা মৌসুম তাই কষ্ট হলেও দ্রুত পাতা উত্তোলনের চেষ্টা করবো।
Discussion about this post