আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটের তরুণ- তরুণীরা যুক্তরাজ্যে যেতে মরিয়া উঠেছেন। সিলেটের অলি গলি আইইএলটিএস সেন্টার গুলোতে উপচে পড়া ভিড়। চলতি বছরে সিলেট জুড়ে হাজার হাজার তরুণ তরুণী ছাত্র ছাত্রীরা লন্ডনে অবস্থান করেছেন। শুধু লন্ডন অন্যান্যদেশেও অনেকেই অবস্থান করছেন বলে সিলেটের বিভিন্ন আইইএলটিএস সেন্টারগুলো থেকে জানা যায়।
ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম-আইইএলটিএস-এ স্কোর পাঁচের উপর করতে পারলেই যেন যুক্তরাজ্যের স্টুডেন্টস ভিসার সোনার হরিণ হাতের মুঠোয় ধরা দিচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী যাওয়ার সময় নিভর্রশীল হিসেবে সাথে নিয়ে যাচ্ছেন স্পাউস ও সন্তানদের। ভিসা প্রাপ্তি সহজ হওয়ায় গেল চার বছরে সিলেট থেকে শিক্ষার্থী ও তাদের নিভর্রশীল হিসেবে প্রায় এক লাখ লোক যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ ‘শিক্ষা ভিসা’ ও ইমিগ্রেশন শর্ত শিথিল করায় সে সব দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ বেড়েছে সিলেটের শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে ‘শিক্ষা ভিসা’ প্রাপ্তির হার বেড়ে যাওয়ায় প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদেশে পাড়ি দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। তিন ও চার বছরমেয়াদী স্মাতক এবং এক ও দুই বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর শিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে ছুঁটছেন তারা। শিক্ষা ভিসার জন্য আইইএলটিএস করার জন্য ভিড় করছেন সেন্টার গুলোতে।
সিলেট ইংলিশ ল্যাগুয়েজ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এসোসিয়েশন (সেলটা) এর সভাপতি এডভোকেট খালেদ চৌধুরী জানান, তাদের সংগঠনের অধীনে ৪০টির বেশি আইইএলটিএস সেন্টার রয়েছে। অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশ ভিসা বেশি হচ্ছে। যে কারণে ইংরেজি শিক্ষার জন্য আইইএলটিএস সেন্টার গুলোতে শিক্ষার্থীদের ভিড় বেড়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতি সপ্তাহে একটি করে পরীক্ষা নিচ্ছে। মাসে ২ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী আইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার মো. কফিল হোসেইন চৌধুরী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের ভিসা সাকসেস রেট ভাল হওয়ায় উচ্চ শিক্ষার জন্য বর্হিগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও ২-৩ গুন বেড়েছে।
Discussion about this post