কালিহাতীতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামে উত্তোলন করা বালু রাতের আধাঁরে বিক্রি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে  সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটি ভরাটের নামে উত্তোলন করা বালু রাতের আধাঁরে বিক্রি করছে প্রভাবশালী মহল।  সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।   এতে করে একদিকে সহজেই ওই প্রভাবশালী মহলটি বনে যাচ্ছে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। অন্যদিকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
নদী থেকে অবৈধ বাংলা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ঝুঁকিতে  আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতুমহাসড়কের পৌলি সেতু, পৌলি কালীমন্দির, বসতবাড়ি ও কাঠবাগান। স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও তাদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার পৌলি এলাকায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাটের কথা বলে ওই এলাকার সুজন মিয়া সরকার ও সাইফুল ইসলাম প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশেই বালুর পাহাড় বানিয়ে এক মাস যাবত রাতের আঁধারে অন্যত্র বিক্রি করছেন।  তাদের অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে আরেকটি চক্র পৌলি  উত্তর পাড়া নদীতে অবৈধ বাংলা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু  উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এর ফলে হুমকিতে রয়েছে পৌলি কালীমন্দির ও অসংখ্য বাড়িঘর।
স্থানীয় হাতেম আলী ও রুবেল মিয়া জানান, সুজন মিয়া প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত পৌলীতে মাটির ব্যবসা করে আসছেন।  এলাকার কেও বাধা দিলে তাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখানো হয়।
বালু বিক্রির বিষয়ে সুজন মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন।  তারপর তাকে একাধিক বার ফোন করা হলেও আর রিসিভ করেননি।
কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।  আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এরপরেও কেও যদি বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কামরুল হাসান
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি