মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক চাষ হ্রাসে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম। ১০ অক্টোবর ২০২২, রোজ সোমবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মত প্রকাশ করেন। এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আইন সংশোধনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন যে, খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প শস্য ফলানোর জন্য চাষীদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিসি অনুবিভাগের বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো: রুহল আমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মোঃ বেনজীর আলম, মহাপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, আবদুল্লাহ মাসুদ এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব, আঃ গাফ্ফার খান, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), কৃষি বিপনন অধিদপ্তর, হোসেন আলী খন্দকার অতিরিক্ত সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও সমন্বয়কারী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, লিড পলিসি এডভাইজার, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স-বাংলাদেশ, অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদক দ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস), মো. শফিকুল ইসলাম, হেড অব প্রোগ্রামস- বাংলাদেশ, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস প্রমুখ। মোঃ মোখলেসুর রহমান, উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য সেক্টর, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
মোঃ সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তামাক কোম্পানী সবসময় ধূমপায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের কথা বলে অথচ পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির হাত থেকে অ-ধূমপায়ীদের নিজেদেরেকে রক্ষা করার যে অধিকার রযেছে, সেটাকে তারা উপেক্ষা করে। পাবলিক প্লেসে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান রাখা অ-ধূমপায়ীদের অধিকার লংঘনের শামিল। তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবধরনের পাবলিক প্লেস ও গণপরিবহনে ধূমপান এলাকা রাখার নিয়ম বাতিল করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, তামাক একটি মহামারীর নাম। তামাক চাষী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই তামাকের প্রভাবে ত্বকের ক্যান্সারসহ নানা ধরণের শারিরীক সমস্যায় ভূগছে। এটাকে নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে মো: রুহল আমিন তালুকদার বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের রোড ম্যাপটি যথা শীঘ্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্ত করা উচিৎ। সেক্ষেত্রে প্রতিটি সেক্টরে কার কি রোল তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া উচিৎ।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রতি নিমোক্ত প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়-
- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীর পূর্ণ সমর্থন ও এটি পাসের প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা গ্রহণ।
- খাদ্য নরিাপত্তা নশ্চিতি করার র্স্বাথে Entry চাষীদেরকে তামাকের পরিবর্তে খাদ্য ফসল চাষে উদ্বুদ্ধকরণ।
- কৃষি বিপনন আইন ২০১৮ সংশোধনপূর্বক ক্ষতিকর তামাককে অর্থকরী ফসলের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
- র্ভতুকরি সার তামাক চাষে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।
- Essential commodities Act, 1956 থেকে সিগারেটকে বাদ দেয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা
- তামাক কোম্পানীর প্রতি কোন ধরনের সহানুভূতি প্রদর্শন না করা।
Discussion about this post