নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা দেখতে ২০১৭ সালে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহেনাও। তখন আহত রোহিঙ্গা শিশুদের মায়ের পরম স্নেহের হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলেন ও তাদের চোখের জল মুছে দিয়েছেলেন তাঁরা দুইজন। এসময় তাঁরা ছিলেন অশ্রুসিক্ত। তখন সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবু সেই আবেগঘন পরিবেশের ছবি ক্যামরাবন্দি করে পরবর্তীতে দেশ-বিদেশে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। বাবুর আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে আসা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এই ছবিটির সামনে এসেই থমকে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ একটি নিশ্বাস ছেড়ে বলেন, ‘গ্রেট অব বাংলাদেশ। কেউ বলেন, ‘সি ইজ এ রিয়েল হিরো, শেখ হাসিনা সি ইজ এ গ্রেট।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিকট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি; তাঁরই চিত্র তুলে ধরতেই আজ রোববার (১৬ অক্টোবর) দিনব্যাপী রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ প্রাঙ্গনে “বঙ্গকন্যা”শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত চলে এই প্রদর্শনী।
এদিকে, বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় ব্ক্তারা বলেন, অন্তরের ভালোবাসা ও মেধা দিয়ে ছবি তুলেন ফোজিত শেখ বাবু। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্দশার ছবি তুলে দেশ-বিদেশে সাড়া ফেলছেন ফোজিত শেখ বাবু। আলোচনা সভা শেষে আমন্ত্রিত অতিথিরা ফিতা কেটে দিনব্যাপী এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
“বঙ্গকন্যা” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষক নেতা ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট-এর সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, এমনিতেই মানবতার জননী হয়নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পার্বত্য শান্তি চুক্তি, রোহিঙ্গা ইস্যুুসহ নানান কারণেই তিনি মানবতার জননী। তার নেতৃত্বে আগামীতে আবার আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
সভাপতির ব্ক্তব্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নাছিম আখতার বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নানান অবদানের কারণে এখন পর্যন্ত ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও খেতাবে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যওয়ায় এমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিরল।
বিশেষ অতিথির ব্ক্তব্য রাখেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জোন ঘোষাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল ও গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, ফ্রান্সের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান সরকার প্রমুখ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ-হেল কাফী। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপের সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, আলোকচিত্র শিল্পী ফোজিত শেখ বাবু প্রমুখ।
Discussion about this post