কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী-বড়চওনা সড়কের মেঘাখালি ঝিনাই নদীর ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে নতুন করে সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছে। নির্মাণাধীন সেতুর পাশে রাস্তা ও বেইলি সেতুর ব্যবস্থা না করায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, যাত্রী ও জনসাধারণ চলাচল চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জনদুর্ভোগ নিরসনে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বিকল্প একটি ডাইভারশন রাস্তা করা হয়েছে। তবে তা দিয়ে শুধু মানুষ চলাচল করতে পারলেও কোনো যানবাহন চলে না। তাও ভেঙে গেছে। নৌকায় মানুষ পারাপার করা হচ্ছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অন্যদিকে বিকল্প রাস্তা না থাকায় নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দুই উপজেলার হাজারো মানুষ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বহীনতায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা বলেন, নদীতে কাঠের ডাইভারশন দেয়া হয়েছিল, তা দিয়ে কোনোমতে চলাচল করা যায়। কিন্তু হাটবাজার করে চলাচল করা কঠিন। অটোরিকশা চালক সবুজ আহমেদ বলেন, যে বিকল্প রাস্তা, সেটা দিয়ে কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল সম্ভব নয়।
স্থানীয় এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, বিকল্প রাস্তা না থাকায় ৮ কিলোমিটার ঘুরে বাজারে প্রবেশ করতে হয়।
পৌরসভার হরিপুর গ্রামের কামরুল হাসান বলেন, বিকল্প রাস্তা না থাকায় অনেক ভোগান্তি হচ্ছে জনসাধারণের। সেতুর ঠিকাদার শহীদুর রহমান খান শাহীন বলেন, কাঠ দিয়ে চলাচলের জন্য ডাইভারশন করা হয়েছিল। পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় নৌকা দেয়া হয়েছে। কালিহাতী উপজেলা প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, ৮ কোটি ৬ লাখ ২৬ হাজার ৫শ টাকা ব্যয়ে ৯০ মিটার লম্বা সেতু নির্মিত হচ্ছে। সেতু নির্মাণের আগে বিকল্প সেতু কথা বলা নেই। নদীর ওপর শুধু কাঠের ডাইভারশন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে।