আসন্ন সিটি কর্পোরেশন মেয়র নির্বাচনে নওফেল ইচ্ছুক না তবে প্রার্থীতে থাকতে পারে চমক

আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নির্বাচন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

তাঁকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নগরজুড়ে যে জোর গুঞ্জন চলছে তা নাকচ করে দিয়েছেন নওফেল।

সিপ্লাসটিভির সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আসতে ইচ্ছুক নই। আমি দলের হয়ে ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাই।তবে সবচে বড় কথা আমার নেত্রী যদি কাউন্সিলর নির্বাচনও করতে বলেন আমি তাতে না করার কিছু থাকবে না।

উপমন্ত্রী নওফেল আজ সিপ্লাসটিভির সাথে টেলিফোনে তার মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।

তিনি অবশ্য বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মুল দায়িত্বগুলো পালন করার মানসিকতা নিয়ে সবসময় যিনি ব্যস্ত থাকতে পারবেন, তাকেই মনোনয়ন দিবেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।

সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র নমিনেশন পাবেন কিনা এমন উত্তরে তিনি বলেন,পুরোটাই নির্ভর করছে আমাদের সভাপতির উপর। তবে দলীয় মূল পদ আর মেয়রের দায়িত্ব আলাদা করার একটি জোরালো আলোচনা রয়েছে।

নগরে প্রার্থী সংকট রয়েছে এমন প্রচারণাও রয়েছে জানালে তিনি বলেন, প্রার্থীর কোন অভাব নেই। সময়মতো খুব গ্রহনযোগ্য প্রার্থী আপনারা দেখবেন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে যেভাবে চমক ছিলো সে রকম চসিকতেও দেখবেন।

দলের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন,সিডিএ র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, আলতাফ হোসেন বাচ্ছুতো আছেই।তবে চমক হিসেবে নগরের একজন এমপিও চলে আসতে পারেন। তবে কোন মাসলম্যানগিরি দেখিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে রাজি করানো যাবে না-এটা সবাইকে বুঝতে হবে। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন জোরালো একজন মেয়র প্রার্থী। উনার বিপক্ষে দলীয় প্রার্থী হিসেবে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসানের নাম বেশ আলোচনায় আছে এমন গুঞ্জনের সত্যতা জানতে ফোন করা হলে জনাব নওফেল এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য,২০১৫ সালের ৬ মে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নবনির্বাচিত মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন সহ কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে অপর দুই সিটির নির্বাচিতরাও শপথ নিয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে চট্টগ্রাম সিটির মেয়র আ জ ম নাছিরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ২৮ এপ্রিল ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন বিজয়ী হন। তিনি ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম পেয়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ভোট