মন্ত্রীসভায় নতুন করে সম্প্রসারন করার খবর শোনা যাচ্ছে। নতুন মন্ত্রীসভায় আসতে পারে এমন তালিকায় রয়েছে আ’লীগের সিনিয়র নেতা সাবেক মন্ত্রী ঝালকাঠির সন্তান আমির হোসেন আমু এমপি, ভোলার তোফায়েল আহমেদ এমপি ও শেরপুরের মতিয়া চৌধুরী এমপি। এমন খবর ভাসছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। দলীয় ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ খবর প্রচার হচ্ছে। আ’লীগের টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসলেও অভিজ্ঞ ২ পার্লামেন্টারিয়ান মন্ত্রী সভায় না থাকায় দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের মাঝে হতাশা নেমে আসে। গত নবম জাতীয় সংসদের শেষ দিকে আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে মন্ত্রী সভায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছিল। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুরো ৫ বছরই তারা মন্ত্রী সভার দায়িত্বে থাকলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রী সভার বাইরে রয়েছেন তারা। আমির হোসেন আমু ইতেমধ্যে বিভিন্ন সময় ভূমি, খাদ্য, ত্রান ও দুর্যোগ এবং শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
সর্বশেষ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিনে আমির হোসেন আমু এবং উত্তর সিটির নির্বাচনে তোফায়েল আহমেদ দলীয় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হওয়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা পালন করায় তাদের উপর খুশি হয়েছেন দলীয় সভানেত্রী। দলীয় ফোরামে তারা ভুয়সী প্রসাংসা পেয়েছেন।
দলীয় একটি সূত্র জানাগেছে, আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে দলের সিনিয়র নেতাদের আবারও মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনা হতে পারে। বিশেষ করে আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। গত ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের ক্ষমতার ১ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আরো আগেই মন্ত্রীপরিষদ রদবদলের কথা থাকলেও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে যায়। যেহেতু ১ ফেব্রুয়ারী সিটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, সেহেতু প্রধানমন্ত্রী ইতালি সফর থেকে দেশে ফেরার পরেই মন্ত্রীসভার রদবদল হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি এবং পর্যালোচনা প্রধানমন্ত্রী করেছেন বলেও জানাগেছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমির হোসেন আমু তোফায়েল পারফমেন্সে দলের হাইকমান্ডসহ প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় আমির হোসেন আমু মন্ত্রিসভায় আসবেন এমনটাই মন্তব্য করছেন দলটির নির্ভরযোগ্য একটি সুত্র।
উলেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে আমির হোসেন আমুকে শিল্প মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু এ দলটি তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করার পর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয় দলের হেভিওয়েটদেরকে। তৃতীয় মেয়াদে এসে তরুণ মন্ত্রীরা গতির সাথে তাল মেলাতে পারছেন না। একারণেই মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা আলোচনায় এসেছে এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ঘরোয়া আলোচনায় মন্ত্রিসভায় রদবদলের ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত ১ বছরে মন্ত্রীদের কাজের যে পারফরমেন্স, সেই পারফরমেন্স রিপোর্ট এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে। কোন মন্ত্রী কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন এবং কে কতটুকু দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তা বিবেচনায় রেখেই এবারের রদবদল হবে। এমনটাই জানিয়েছেন দলটির সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর তরুন কর্মকার জানান, ‘আমরাও বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি আমু ভাই মন্ত্রী হচ্ছেন। তিনি মন্ত্রী হলে তার পূর্বের মন্ত্রীসভা চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে দেশের সেবা করতে পারবেন। দক্ষিনাঞ্চলের উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
Discussion about this post