চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থা আ জ ম নাছির উদ্দীন। সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিরের সময়ে দলে কোনো গ্রুপিং ছিল না। তিনি সবাইকে নিয়ে কাজ করেছেন ঐক্যবদ্ধভাবে। তাই আগামী নির্বাচনেও তাঁকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
ইতোমধ্যে নগরের আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগসহ সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা নাছিরের পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। তারা বলছেন, চসিক নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে আ জ ম নাছিরের বিকল্প নেই।
২০১৫ সালের চসিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিএনপির প্রার্থী মনজুর আলমকে পরাজিত করেন নাছির। এ বিজয়ে পাঁচ বছর বিএনপির হাতে থাকা নগরপিতার গুরুত্বপূর্ণ পদটি পুনরুদ্ধার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই চসিককে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন নাছির। ডোর টু ডোর নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে তিনি ছিলেন সচেষ্ট। নগরবাসীর সঙ্গে তিনি সরাসরি সম্পৃক্ততা হয়েছেন। নাগরিকদের আশা-আকাঙ্খার কথা শুনে তা বাস্তবায়নও শুরু করে দেন তিনি। এটিকেই আগামী নির্বাচনে নাছিরের বিশাল প্লাস পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
লালখানবাজার ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সদস্য আনিছুর রহমান চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, নগর আওয়ামী লীগ এখন শুধু সুসংগঠিত নয়, সাংগঠনিকভাবে অনেক বেশি শক্তিশালী। আ জ ম নাছিরের নেতৃত্বে আমরা বিএনপির দুর্গকে ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করেছি। এজন্য তাঁর বিকল্প কেউ নেই। মুখে অনেকে অনেক কিছু বলতে পারেন, কিন্তু তারাই কাজের বেলায় দলকে ভুলে গিয়ে নিজের স্বার্থই আগে দেখেন। আমরা আ জ ম নাছিরের নেতৃত্বে বিশ্বাসী ও আস্থাশীল। আমরা তাঁকেই মেয়র পদে দেখতে চাই।
সাবেক সিটি মেয়র নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর পর অনেকেই শঙ্কিত ছিলেন দলের বিভক্তি নিয়ে। কিন্তু আ জ ম নাছিরের দক্ষ নেতৃত্বে দলের বিভক্তিতো দূরে থাকুক, অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ। দলে তিনি গড়ে তুলেছেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। মূলত তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একাদশ নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগরের চারটি আসন ধরে রাখতে পেরেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
নিজের দলের পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে রেখেছেন অবদান। একইসঙ্গে মেয়র হিসেবে নিজের কর্মকাণ্ড দিয়েও সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন নাছির। যা তাঁকে দলের মনোনয়নে জন্য একধাপ এগিয়ে রাখবে বলে মনে করছে তৃণমূল।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক বলেন, মেয়র পঁচাত্তরের পর নাছির নগর ছাত্রলীগকে সংগঠিত করেছেন। পরে আওয়ামী রাজনীতিতে দলের দুঃসময়ে হাল ধরেছেন। তিনি কখনো দলের সঙ্গে বেঈমানি করেননি।
তিনি আরো বলেন, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি চট্টলবীর মহিউদ্দীন চৌধুরীর মৃত্যুর পর নাছির দক্ষ নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আরো শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করেছেন। এ সাফল্যের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে আবার মূল্যায়ন করবেন বলে আশা করি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসম্পাদক ইয়াসির আরাফাত জয়নিউজকে বলেন কর্মীবান্ধব ও উন্নয়নের রূপকার হিসেবে পরিচিত মেয়র নাছির। ভোটার ও তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হলে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে তৃণমূলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী।
এদিকে মেয়র হিসেবে নিজের মুল্যায়নে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন জয়নিউজকে বলেন, দলের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখে গত চসিক নির্বাচনে দল থেকে আমাকে সমর্থন দেন। নির্বাচনে বড় ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থীকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হই। আমার প্রথম ও প্রধান কাজ ছিল নেত্রীর আস্থা-বিশ্বাসের প্রতি সম্মান জানিয়ে নগরবাসীর একজন সেবক হিসেবে কাজ করা। গত সাড়ে চার বছরে সরকারের সহযোগিতায় আমার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির অনেকাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছি
Discussion about this post