মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, যৌতুক ও দুর্নীতি বিরোধী মহাসমাবেশে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে মিছিলের সংখ্যা শতক ছাড়িয়ে গেছে। নগরের ৪১ ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ১৪ সংরক্ষিত কাউন্সিলর, বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ লক্ষাধিক মানুষ মিছিল সহকারে মহাসমাবেশে যোগ দেয়। লালদিঘী ময়দানের ইতিহাসে মহানগর নিয়ে এত বড় মহাসমাবেশ, এত বেশি মিছিল ইতোপূর্বে দেখা যায়নি বলে জানান মহাসমাবেশে যোগ দেয়া অনেকে।
পুরো চট্টগ্রাম মহানগর থেকে আগত শত শত মিছিল লালদীঘির মহাসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করেছে। বিকাল ৩ টা থেকে সমাবেশ শুরুর সূচী থাকলেও নগরীর ওয়ার্ডকাউন্সিলর, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, রাজনৈতিক অঙ্গ সহযোগী সংগঠন, সামাজিক সংগঠনের মিছিল গুলো দুপুর ২ টার পর থেকে আসতে থাকে। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বক্তব্য শুরুর আগ পর্যন্তও মিছিল মহাসমাবেশে আসতে থাকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদক সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দুর্নীতি বিরোধী এই মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে লালদিঘী ময়দানে আরেকটি ইতিহাস রচিত হলো। শুধু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নয়, কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই এত বড় মহাসমাবেশ ইতোপূর্বে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
অনেকে বলছেন, সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে আগত মিছিলের বাইরেও মহাসমাবেশে বিভিন্ন সংগঠন স্বতস্ফূর্ত ভাবেই অংশগ্রহণ করেছে। এতে করে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দূর্নীতি, যৌতুক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনে সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, আজকের লালদিঘী ময়দানের মহাসমাবেশে ৪১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ৫৫টি মিছিল অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও জনসচেতনতার স্বার্থে বক্সির হাট ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ বাহাদুর, পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ যুগ্ম আহবায়ক আসফাক আহমদ, নগর যুবলীগ নেতা বেলায়েত হোসেন রুবায়েত, মহানগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, যুবলীগ নেতা তাজ উদ্দিন, পতেঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল আলম, রোটারিয়ান মো ইলিয়াস, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার শ্রমিক কর্মচারী লীগ, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ, কমার্স কলেজ ছাত্র লীগ, পাথরঘাটা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা পুলক খাস্তগীর, ফজলে আজিজ বাবুলের নেতৃত্বে আগত মিছিল সমাবেশ শুরুর আগে ময়দানে প্রবেশ করে।
এরপর একের পর এক শুলকবহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র লীগ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র লীগ, বিএমএ চট্টগ্রাম সভাপতি ডা মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা ফয়সল ইকবালের নেতৃত্বে চিকিৎসক সংগঠন, ইয়ং ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরাম, সচেতন নাগরিক সমাজ, অবিনাশী একাত্তর, প্রয়াত মুক্তি যোদ্ধার সন্তান পরিষদ, রেল শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, সুমন চৌধুরীর নেতৃত্বে কমার্স কলেজ সাবেক ছাত্র পরিষদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান ফেরদৌস, জাবেদুল আলম সুমন, পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগ আইন সম্পাদক সুজিত দাশ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইয়াসির আারাফাত, আবদুল্লাহ আল মামুন, রেজাউল আলম রণির, চট্টগ্রাম জেলা আইন জীবী সমিতি, সাফয়াত বিন আমিন অসিউর রহমান ও অনিন্দ্য দেবের নেতৃত্বে, নগর ও নাগরিক, বান্ডেল রোড হরিজন পরিষদ মিছিল নিয়ে মহাসমাবেশে অংশ নেয়।
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী লীগ সভাপতি ফরিদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলমের নেতৃত্বে মিছিল , স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র, জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ, ক্যাব চট্টগ্রাম, চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আসদগঞ্জ কোরবানি গঞ্জ শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শতাধিক মিছিল এসেছে বলে জানা গেছে।