বিরতি দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজকে বোলিংয়ে এনেছিলেন সাকিব আল হাসান। তখন জয় থেকে ১৬ রান দূরে ছিল ভারত। রবিচন্দ্রন অশ্বিন থিতু হয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন, সঙ্গে ছিলেন শ্রেয়ার আইয়ার। অষ্টম উইকেট জুটিতে তখন জয় দেখছিল ভারত। অভাবনীয় কিছুর আশায় ছিল বাংলাদেশ। সেই বিশ্বাস থেকেই পাঁচ উইকেট নেওয়া মিরাজকে বোলিংয়ে এনেছিলেন সাকিব, এবার যিনি নিষ্প্রভ। প্রথম বল করতে এসেই হজম করেন ছক্কা। তার শর্ট বল চোখের পলকে মিড উইকেট দিয়ে উড়ান অশ্বিন। অধিনায়ক সাকিবের ম্যাচ জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় সেখানেই।
পরের পাঁচ বলেই অশ্বিন দলকে জেতান। দ্বিতীয় বলে ডাবলস নেওয়ার পর পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে দুটি চার হাঁকান অতি সহজে। ভারত পেয়ে যায় ৩ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয়। ৭১ রানের জুটি গড়ে অশ্বিন-আইয়ার ভারতকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। মিরাজকে বোলিংয়ে এনে বিশেষ কিছুর অপেক্ষায় থাকা সাকিব বলেছেন, ‘শেষ ওভারে মিরাজের বলে যখন ছয়টা হলো… এর আগ পর্যন্ত বিশ্বাস ছিল জেতা সম্ভব। এখানে (মিরপুরে) হয় কী, ৫-৬ রানে তিনটা উইকেট পড়ে যেতে পারে। একটা বোলার একটা হ্যাটট্রিক করতেই পারে। তিন বলে তিন উইকেট পড়তেই পারে। এমনটা খুবই স্বাভাবিক ক্রিকেটে।’
১৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারত ৭৪ রান তুলতে ৭ উইকেট হারায়। সেখান থেকে অশ্বিন ও আইয়ার যেভাবে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন, তাতে তাদের কৃতিত্ব দিতে কাপর্ণ্য নেই সাকিবের। সঙ্গে নিজের দল যেভাবে লড়াই করেছে তাতে মুগ্ধ বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘ওরা খুব ভালো ব্যাটিং করেছে ওই সময়ে। সহজ উইকেট ছিল না ব্যাটিং করার জন্য। যেভাবে ওরা ব্যাটিং করেছে ওদের কৃতিত্ব দিতে হবে। আমরা সব দিক থেকে চেষ্টা করেছি। একটু শর্ট ছিলাম আমরা কোনোভাবে।’
শেষ দিকে গিয়ে ম্যাচ হারলেও সাকিবের কোনো আফসোস নেই, ‘কোনও আক্ষেপ নেই। আমরা পুরো টেস্ট ম্যাচে ভালো লড়াই করেছি, যতক্ষণ পর্যন্ত খেলা হয়েছে। এই মানসিকতা সামনের টেস্ট ম্যাচগুলোতে থাকবে বলে আশা করি। তাহলে মনে হয় অনেক ফল আমাদের পক্ষে যাবে।’
Discussion about this post