আবুল কাশেম রুমন,সিলেট : সিলেট সদর উপজেলার বাদাঘাটে ফসলি জমির মাটি কেটে পরিবহনের মাধ্যমে এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা ভরাট এবং ইটভাটায় বিক্রি করছে একটি মহল। এতে জমির উর্বরাশক্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এলাকার কাচা-পাকা রাস্তায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলাধিন হাটখোলা ইউনিয়নে প্রভাবশালী একটি চক্র রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় মেরিন একাডেমি সংলগ্ন সতর গ্রামের বিভিন্ন ফসলি জমির মাটি ট্রাক্টর দিয়ে সোনাতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটা ও স্থাপনা ভরাটে পরিবহন করছে। সিঙ্গাই নদী সংলগ্ন এলাকার একাধিক স্থানে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি পরিবহন অব্যাহত রয়েছে। ফসলি জমির উপরি ভাগের মাটি কাটার সময় প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মাহেন্দ্র ট্রাক্টর চলাচল করায় অন্যান্য জমির ক্ষতি হচ্ছে। এ ছাড়া ধুলায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে এলাকাবাসী শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এলাকার প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে কৃষকদের কাছ থেকে কেনা ফসলি জমির মাটি প্রতি দিন ভেকু মেশিনের মাধ্যমে কেটে পুকুর বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং জমি হারাচ্ছে উর্বরতা।
একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, তাঁদের জমির ওপর দিয়ে জোর করে রাস্তা বানিয়ে মাহেন্দ্রতে মাটি নেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাঁদের ক্ষতি করে এই ব্যবসা করা হচ্ছে। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। সরকার যে কোন সময় এ এলাকার জমি অধিগ্রহন করবে ভেবে স্থানীয় জমির মালিকরা তাদের ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছে বলে তারা জানান।
অথচ আইনে বলা হয়েছে, কোনো ভাবেই ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি এই আইন অমান্য করে মাটি কাটলে দোষীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধানও রয়েছে। অথচ আইন অমান্য করেই প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি কাটা চলছে। তারপরও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার, যেন দেখার কেউ নেই।
সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ স¤্রাট হোসেন বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হবে। তথ্য পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আলাপকালে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, অনুমতি ছাড়া ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এলাকার প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে কৃষকদের কাছ থেকে কেনা ফসলি জমির মাটি প্রতি দিন ভেকু মেশিনের মাধ্যমে কেটে পুকুর বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং জমি হারাচ্ছে উর্বরতা।
একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, তাঁদের জমির ওপর দিয়ে জোর করে রাস্তা বানিয়ে মাহেন্দ্রতে মাটি নেওয়া হচ্ছে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাঁদের ক্ষতি করে এই ব্যবসা করা হচ্ছে। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে। সরকার যে কোন সময় এ এলাকার জমি অধিগ্রহন করবে ভেবে স্থানীয় জমির মালিকরা তাদের ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছে বলে তারা জানান।
অথচ আইনে বলা হয়েছে, কোনো ভাবেই ফসলি জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। কোনো ব্যক্তি এই আইন অমান্য করে মাটি কাটলে দোষীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা তিন লাখ টাকা জরিমানার বিধানও রয়েছে। অথচ আইন অমান্য করেই প্রকাশ্যে ফসলি জমির মাটি কাটা চলছে। তারপরও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার, যেন দেখার কেউ নেই।
সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ স¤্রাট হোসেন বলেন, মাটি কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নেওয়া হবে। তথ্য পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে আলাপকালে সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, অনুমতি ছাড়া ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post