স্থানীয় প্রবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি যুবক তৌফিক ইসলাম (২৯)-এর সাথে মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ যু্বতীর কয়েক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তৌফিক ওই যুবতীকে বিয়ে করবে বলে পরিবারকে জানায়। বিয়েতে সম্মতি না থাকায় মা-বাবার সাথে তৌফিকের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ বিষয়টি নিয়ে পরিবারে প্রায়ই নানা কলহের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর মায়ের সাথে আবারও ঝগড়া বাধে তৌফিকের। মা-ছেলের চরম বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে মায়ের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং মাকে গুলি করে হত্যা করেন তৌফিক। এ সময় অন্য কেউ বাড়িতে ছিলনা। সন্ধ্যার দিকে তার ছোটভাই বাড়িতে এসে দরজা খুলেই ঘরের ভেতর মা ও ভাইয়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মা ও ছেলের মরদেহ স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তৌফিকের বাবার নাম মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তাদের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলায়।
সাম্প্রতি কেনা নিজের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মাকে ত্যার পর নিজে আত্নহত্যা করেছেন বলে স্থানীয় প্রবাসীরা ধারনা করছেন। এ ব্যাপারে মেরিয়াট্টা পুলিশ ডিপার্টমেন্টে একটি অপমৃত্য্য রেকর্ড করা হয়েছে।
৬ জানুয়ারি শুক্রবার স্থানীয় আত্তাকোয়া মসজিদ প্রাঙ্গনে জুমার নামাজের পর মা ও ছেলের লাশের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা ছাড়াও ভিনদেশি অনেক মুসল্লি্রা অংশ নেন। পরে নিউটন কাউন্টিতে অবস্থিত মুসলিম কবরস্থানে মা ও ছেলের লাশ দাফন করা হয়।
Discussion about this post