ইমা এলিস/ নিউ ইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনাটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) অর্থায়নে এর ল্যাবে গবেষণার সুযোগ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মুখ উজ্বল করলেন কর্নেল ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আদিবা সাজেদ সারা। ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধি হিসেবে আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব অ্যারোনাটিক্স অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনাটিকস (এআইএএ) আয়োজিত সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (সাইটেক) ফোরামে অংশ নিয়ে আদিবা নির্বাচিত হয়েছেন। ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১৩ জনের মধ্যে একজন হলেন আদিবা।
মেয়ের সাফল্যে অত্যন্ত গর্বিত আদিবার বাবা-মা। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক রওশন হক মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে মেয়ের এ সফলতা তুলে ধরেন।
তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচিতরা নাসার ল্যাবে গবেষণার পাশাপাশি পড়ালেখার জন্য অর্থ পেয়ে থাকেন। এআইএএ সাইটেক ফোরামের প্রতিনিধিদের মধ্যে ৪৩টি দেশের প্রায় এক হাজার করপোরেট, একাডেমিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের দেড় হাজারের বেশি স্নাতক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও মহাকাশ পেশাদাররা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
রওশন হক লিখেছেন, ‘আদিবা সাজেদ সারা বিশ্বের ১৩ জনের মধ্যে একজন সিলেক্ট হয়ে এই পোগ্রামে জয়েন করতে সুযোগ পেয়েছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন, কর্নেল ইউনিভার্সিটি তাদের ইউনিভার্সিটিকে রিপ্রেজেন্ট করতে একমাত্র আদিবাকেই মনোনীত করে এই প্রোগ্রামে পাঠিয়েছে। কারণ গত দুই বছর ধরে সে পড়াশুনার পাশাপাশি নাসার মনোনীত কর্নেল ইউনিভার্সিটির এরোস্পেস ইন্জিনিয়ারিং ল্যাবে কাজ করছিল। গত দুই বছরের ভালো রেজাল্ট এবং কর্মদক্ষতার কারণে কর্নেল ইউনিভার্সিটি আদিবাকে এই সুযোগ দেয়। এর আগে এই পোগ্রামে জয়েন করবার জন্য তাকে অনেকগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। সে নাওয়া খাওয়া ভুলে পাগলের মতো পড়ে নাসার সকল পরীক্ষা ভালোভাবে পাশ করে। এবার নাসার গবেষণা ল্যাবে জগৎবিখ্যাত সব বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সঙ্গে কাজ করবার জন্য সে সিলেক্ট হয়েছে।’
আদিবা ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে ফিজিকসে ভর্তি হন। সেখানে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনা করছেন। প্রথম বর্ষ শেষ করার পর তিনি অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
‘আদিবা ভালো পড়াশোনার জন্য এইট গ্রেড ও টুয়েলভ গ্রেডে দুবার ভেলোডিকটেরিয়ান হয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালে (স্যাট) পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরের মধ্যে ১৫৮০ নাম্বার পেয়ে ১২টি আইবিলিগ কলেজে পড়াশোনার সুযোগ পায়।’
আদিবা বিভিন্ন ধরনের এক্সট্রাকারিকুলার এক্টিভিটিসের সঙ্গে যুক্ত উল্লেখ করে রওশন হক বলেন, সে জাপানি শিক্ষা ব্যবস্থা ‘কুমনের’ ম্যাথের হেড ছিল। নিউইয়র্কের কয়েকটি ব্র্যাঞ্চে কাজ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেছে আদিবা।
আদিবার জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুলে পড়লেখা করে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। তখন থেকে দেশটিতে বসবাস করছেন।
Discussion about this post