রাকিব হোসেন, কুমারখালী প্রতিনিধিঃ “চাওয়ালার জিপিএ ৫ পাওয়ার গল্প,হতে চায় ইঞ্জিনিয়ার” এই শিরোনামে গত ৮ ফেব্রুয়ারিতে সংবাদমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সেই প্রতিবেদনে চাওয়ালা মেহেরাবের ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার চিত্র তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শোদোকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপের নজরে আসে এবং মেহেরাবের পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সেই আলোকে আজ মঙ্গলবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরাবকে তার কার্যালয়ে ডেকে সার্বিক খোঁজ খবর নেন ও তার হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। সেই সাথে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে মেহেরাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানান।
জানা যায়, কুমারখালী উপজেলার এম,এন পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পাওয়া মেহেরাব হোসেন বলছিলেন তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতার কথা। এবার ভর্তি যুদ্ধে মেহেরাবের পড়াশোনার সুযোগ হয়েছে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে। তাই এখন মেহেরাবের চোখে মুখে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন।
একটি চায়ের দোকানের আয়ে চলে সংসার আর মেহরাবের তিন ভাই বোনের পড়ালেখা। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ার টেবিলে না বসে মেহরাবের খুলতে হয় চায়ের দোকান। তারপর স্কুলে যাওয়া,স্কুল থেকে ফিরে আবার গন্তব্য চায়ের দোকান। গরম চায়ের কাপে অন্যের প্রশান্তি মিলানোর ফাঁকে বইয়ে চোখ বুলানো।একজন চাওয়ালার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন জয়ের যাত্রায় যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহবান এলাকাবাসীর।
এবিষয়ে সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ বলেন, একজন কর্মদক্ষ অদম্য মেধাবী ছাত্র মেহেরাব। চোখে মুখে তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন। মেহেরাবের মতো কৃতি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা যাতে বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
Discussion about this post