এগার হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিক নিহত। 

নিহত শ্রমিক চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ গ্রামের মৃত আমিরুদ্দিন এর ছেলে মানিক (৪০)। এবং আহত হয়েছেন একই এলাকার রাজু।

স্থানীয়রা জানান, বেলা দেড়টার দিকে খোকন মোড় এলাকায় ঠিকাদারারের লোকজন বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করার সময় হটাৎই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে একজন ঘটনাস্থলে পোলের উপর থেকে নীচে পরে যায় অপর আরেকজন পোলের উপরে ঝুলে থাকে ঝুলন্ত ব্যক্তিকে নামিয়ে আহত অবস্থায় তাকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশংকাজনক কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে  নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কুমারখালী উপজেলা সাস্থ কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মহসিন আরেফিন জানান, কারেন্টের শক খেয়ে দু’জন রোগী আসে একজনকে মৃত পেয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করি, আর একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নতি চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঠিকাদার মেজবাহুর রহমান মিজু জানান, তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের হেড মিস্ত্রি দীর্ঘদিন যাবত কুমারখালীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করছে। সে উপজেলা ফিডার ও শহর ফিডার দুইটা সমন্ধে অবগত। উপজেলা ফিডার বন্ধ রেখে তাদের শ্রমিক কাজ করছিলো। কিন্তু হেডমিস্ত্রি অসচেতনতার সাথে চালু শহর ফিডারে শ্রমিককে কাজ করতে বললে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমারখালী ওয়েষ্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকোলি) আবাসিক প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, কুমারখালী শহর দুইটা ফিডারে বিভক্ত। শনিবার বেলা ২ টা পর্যন্ত উপজেলা ফিডার বন্ধ রেখে  ঠিকাদারের লোকজন কাজ করছিলো। কিন্তু অসাবধানতাবশত তারা চালু শহর ফিডারের ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে কাজ করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কুমারখালী থানার ওসি মো. মহসীন হোসাইন জানান, বৈদ্যুতিক তারে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিক নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।