আবুল কাশেম রুমন, সিলেট : প্রতি বছর সিলেটে মাঘে ও মেঘের দেখাতে হয় বৃষ্টির। টানা ২/৩ দিনের বৃষ্টির পানিতে ফিরে দেখা পায় চির চেনা চাপাতার কুঁড়ি। বাগান গুলোতে দেখা দিতে নতুন নতুন চা পাতা। কিন্তু এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে বোরো ধানের ফলন নিয়ে এমনিতেই শঙ্কিত কৃষক। এবার অনাবৃষ্টির প্রভাব চা বাগানে। বৃষ্টির অভাবে চা-উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। এতে কপালে চিন্তার ভাঁজ চা বাগান মালিকদের।
জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট অঞ্চলে চা এর মৌসুম চলছে। অথচ মৌসুমের শুরুতে চা বাগান গুলোতে চলছে পানির সংকট। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত মাসে সিলেটে ২৫-৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল এলাকার বাগান গুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ায় উদ্বেগের মধ্য দিন কাটাচ্ছে বাগান কর্তৃপক্ষ।
এদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে রেড স্পাইডারসহ নানা ধরইেরনর পোকামাকড়ের আক্রমণও শুরু হয়েছে। এতে চায়ের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছর দেশে ৯৩.৮২৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। গত মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০ মিলিয়ন কেজি। চলতি মৌসুমে ১০২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত আগস্টে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্ম বিরতি করেন চা শ্রমিকরা। এ কারণে গত আগস্ট মাসে উৎপাদন কম হওয়ায় মূলত ২০২২ মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি, এমন ধারণা তাদের।
চা বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী জানা গেছে, দেশে নিবন্ধন করা ১৬৭টি টি-অ্যাস্টেট ও চা বাগান রয়েছে। এতে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৬.৮৮ একরে চা উৎপাদন হয়ে আসছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৭৬টি অ্যাস্টেট ও ১৫টি চা বাগান, হবিগঞ্জে ২২টি টি-অ্যাস্টেট ও ৩টি চা বাগান, সিলেটে ১২টি টি-অ্যাস্টেট ও ৭টি চা বাগান, চট্টগ্রামে ১৮টি টি-অ্যাস্টেট ও ৩টি চা বাগান, রাঙামাটিতে একটি টি-অ্যাস্টেট ও একটি চা বাগান, পঞ্চগড়ে ৮টি চা বাগান এবং ঠাকুরগাঁওয়ে রয়েছে একটি চা বাগান।
বাগান-সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে মারাত্মক খরার মধ্যে চা-বাগান গুলো। অথচ বাগান গুলো এখন সবুজে ঢেকে থাকার কথা। কিন্তু ধুলায় ধূসরিত শতাধিক চা বাগানে। নতুন পাতা ছাড়ছে না চা-গাছগুলো। তবে বৃষ্টি হলে অচিরে সকল চা বাগানগুলো সমস্যা দূও হবে আশাবাদ ব্যক্তি করেন।
এদিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে রেড স্পাইডারসহ নানা ধরইেরনর পোকামাকড়ের আক্রমণও শুরু হয়েছে। এতে চায়ের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারী মাসে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত বছর দেশে ৯৩.৮২৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। গত মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০০ মিলিয়ন কেজি। চলতি মৌসুমে ১০২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত আগস্টে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে কর্ম বিরতি করেন চা শ্রমিকরা। এ কারণে গত আগস্ট মাসে উৎপাদন কম হওয়ায় মূলত ২০২২ মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি, এমন ধারণা তাদের।
চা বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী জানা গেছে, দেশে নিবন্ধন করা ১৬৭টি টি-অ্যাস্টেট ও চা বাগান রয়েছে। এতে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৬.৮৮ একরে চা উৎপাদন হয়ে আসছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৭৬টি অ্যাস্টেট ও ১৫টি চা বাগান, হবিগঞ্জে ২২টি টি-অ্যাস্টেট ও ৩টি চা বাগান, সিলেটে ১২টি টি-অ্যাস্টেট ও ৭টি চা বাগান, চট্টগ্রামে ১৮টি টি-অ্যাস্টেট ও ৩টি চা বাগান, রাঙামাটিতে একটি টি-অ্যাস্টেট ও একটি চা বাগান, পঞ্চগড়ে ৮টি চা বাগান এবং ঠাকুরগাঁওয়ে রয়েছে একটি চা বাগান।
বাগান-সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে মারাত্মক খরার মধ্যে চা-বাগান গুলো। অথচ বাগান গুলো এখন সবুজে ঢেকে থাকার কথা। কিন্তু ধুলায় ধূসরিত শতাধিক চা বাগানে। নতুন পাতা ছাড়ছে না চা-গাছগুলো। তবে বৃষ্টি হলে অচিরে সকল চা বাগানগুলো সমস্যা দূও হবে আশাবাদ ব্যক্তি করেন।
Discussion about this post