কালিহাতীতে মাদরাসা ছাত্র রাকিব হত্যার রহস্য এক মাসেই উদঘাটন হয়নি

কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিহত মাদরাসা ছাত্র রাকিব হত্যা না আতœহত্যা করেছে তার প্রকৃত রহস্য একমাসেও উদঘাটন হয়নি এবং ময়নাতদন্তের রির্পোটও আসে নাই। সুষ্ঠু তদন্ত সঠিক বিচারের দাবীতে এলাকার মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিহতের দরিদ্র ভ্যান চালক পিতা বদিউজ্জামান।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গান্ধিনা জান্নাতুল ফেরদৌস মাদরাসার নুরানী বিভাগের আবাসিকে রাকিব(১১) আতœহত্যা না মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কালিহাতী থানা আমলী আদালতে নিহতের পিতা বদিউজ্জামান বাদী হয়ে গত ২৬ ফেব্রæয়ারী প্রিন্সিপাল আ: রউফ,শিক্ষক আবদুর রহমান ও শিক্ষক খলিলুর রহমানের নামে ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগেরও সঠিক তদন্ত হয়নি। বরং অভিযোগটি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে।

নিহতের পিতা বদিউজ্জামান জানান, গত ১৮ ফেব্রæয়ারী উপজেলার টেংগুরিয়া গ্রাম হইতে ¯্রী রুমি ২ ছেলে রাকিব ও ছোট ছেলে ইব্রাহিমকে উপজেলার গান্ধিনা জান্নাতুল ফেরদৌস মাদরাসার নুরানী বিভাগের আবাসিকে সকালে রেখে আসে। বিকালে সাড়ে পাঁচ ঘটিকার সময় খলিলুর রহমান নামে এক শিক্ষক জরুরী ভাবে মাদরাসায় যেতে বলে।মাদরাসায় গিয়ে আমার ছেলেদের না দেখে জানতে চাইলে ছোট ছেলে ইব্রাহিম (৯)কে সামনে আনেন। ছোট ছেলে আমাকে দেখে হাইমাউ করে কেঁদে বলে ভাইকে মেরে গলায় গামছা পেছিয়ে খুটির সাথে বেধে রেখেছে।পরে তাৎক্ষনিক মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ছেলের লাশ পুলিশের নিকট ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।উল্লেখ্য যে,মাদরাসার শিক্ষকদের মারপিটের কারণে ৪/৫ বার একাই বাড়িতে চলে আসে।ঘটনার দিন ছেলেদের বুঝিয়ে সকালে রেখে আসেন।

কালিহাতী থানার (তদন্ত) এসআই(নি:)আল আমিন জানান,ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসে নাই,আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।