সপ্তাহখানেক ধরে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সারাদেশে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তীব্র গরমে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারপরও বিশেষ প্রয়োজনে বের হতে হলে ছাতা এবং রোদচশমা সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিভিন্ন প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে যাদের ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে, এই তীব্র গরমে তাদের হিটস্ট্রোক হতে পারে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কেউ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তার জীবনে অনেক বড় বিপদ ঘটতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত চিকিৎসা না দিলে প্রাণহানির ঝুঁকিও থাকে।
তিনি বলেন, হিটস্ট্রোকে আক্রান্তদের কারো কারো হৃৎপিণ্ডের গতি বেড়ে যেতে পারে। এ সময় রোগীর খিঁচুনি, ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস, বমিভাব কিংবা বমি হতে পারে। রোগী দৈবাৎ অসংলগ্ন আচরণও করতে পারেন। এই গরমে কোনো মানুষের মধ্যে উল্লিখিত উপসর্গ দেখা দিলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ছায়া ও হাওয়াযুক্ত জায়গায় নিয়ে বিশ্রামে রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, গলা পর্যন্ত ঠান্ডা পানিতে ডুবে থাকতে পারলে। তবে, অনেক ক্ষেত্রে এরকম সুযোগ পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা পানিতে রোগীকে গোসল করানোর পরামর্শ দিয়েছেন এই চিকিৎসক।
ডা. ফরহাদ মনজুর বলেন, গোসল করানো যদি সম্ভব না হয়, তাহলে রোগীর শরীর ভেজা কাপড় দিয়ে বারবার স্পঞ্জ করতে হবে। এক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোগীর মাথা, ঘাড়, বগল ও কুঁচকি ভেজানো একান্ত জরুরি। কাপড়ের মধ্যে বরফ বা ঠান্ডা পানির বোতল পেঁচিয়ে এসব স্থানে দীর্ঘসময় ধরে রাখতে পারলে খুবই ভালো হয়।
বাসার বয়স্ক এবং শিশুদের প্রতি বেশি নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডা. ফরহাদ বলেন, শিশু বা বয়স্কদের রুমের বাইরে না বেরুনোই উচিৎ। যারা রোজা রাখছেন, তাদেরকে ইফতারের সময় বেশি বেশি শরবত, পানি, ঘরে বানানো বিভিন্ন ফলের জুস এবং তরল খাবার খেতে হবে। গরম না কমা পর্যন্ত ভাজা-পোড়া বা বাইরের খাবার না খাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন এই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।