কামরুল হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিংহটিয়া চরপাড়া গ্রামের শারমীন আক্তার একটি ধর্ষণ মামলার বাদী। ওই মামলা তুলে নিতে তাকে প্রতিনিয়ত হুমকী দিয়ে আসছে আসামীরা। এ নিয়ে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিরাপত্তা চেয়ে শারমীন আক্তার কালিহাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন।
জানা গেছে, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিংহটিয়া চরপাড়া গ্রামে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়। এঘটনার পর ওই কিশোরীর বোন শারমীন আক্তার বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুইব্যক্তির নামে কালিহাতী থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ এজারহারভূক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। উপজেলার সিংহটিয়া চরপাড়া খালেরপাড় গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রাব্বি (২৮), মৃত. ইমান আলীর ছেলে আলতাফ হোসেন (৬০), বলিখন্ড গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ফুলচান (৩২) এর সাথে ওই গণধর্ষণ মামলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শত্রুতা চলে আসছে। সম্প্রতি, পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা ওই ব্যক্তিরা সিংহটিয়া চরপাড়া খালেরপাড় এলাকার কদ্দুছের পরিত্যক্ত ভিটার পাশে শারমীনকে একা পেয়ে গণধর্ষণ মামলা তুলে নেয়ার হুমকী দেন। মামলা তুলে না নিলে হাত-পা ভেঙ্গে দেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকী দেয়। এঘটনার পর থেকে শারমীন আক্তার ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। উপয়ান্তর না দেখে শারমীন আক্তার বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত ফুলচান জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
কালিহাতী থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড়বোন একটি জিডি (নং-৫৯৬, তাং ১৩/০৫/২০২৩ইং) করেছেন। আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কালিহাতী থানার অফিচার্জ ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড়বোন একটি জিডি (নং-৫৯৬, তাং ১৩/০৫/২০২৩ইং) করেছেন। আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post