১. কাব্যশ্রী, ২. কাব্যরতœ, ৩.কবিরতœ, ৪. সাহিত্যরতœ, ৫. বাংলাদেশ রতœ, ৬. সাহিত্য পদ্মভূষণ, ৭. সাহিত্য বিষারদ, ৮. সাহিত্য সাগর; ৯. সাহিত্য স্বরসতী, ১০. সাহিত্যেরশ্বর; ১১. সাহিত্য বিদ্যা বিনোদন, ১২. সব্যসাচী লেখক, ১৩. স্বরসতীর মানস কন্যা ১৪. স্বরসতী মায়ের মানস কন্যা, ১৫. মা সরস্বতীর মানস কন্যা ১৬. ভাষাসৈনিক কন্যা; ১৭. বঙ্গেশ্বর; ১৮. জীবন্ত কিংবদন্তী প্রভৃতি। তিনি গত ২৫ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং তারিখে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকাস্থ ‘বন্ধন কালচারাল ফোরাম এর উদ্যোগে, চ্যানেল আই এর মিডিয়া পার্টনারে, ঢাকার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মিলনায়তনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এটা বন্ধন কালচারাল ফোরামের ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে পালিত হলো। জমকালো এ আয়োজন অনুষ্ঠানে, গীতিকার, কবি ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দা রাশিদা বারীকে বন্ধন কালচারাল ফোরাম কর্তৃক ‘সাহিত্য সাগর’ উপাধীতে ভূষিত করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব খন্দকার নাজমুল হক (প্রথম সচিব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ঢাকা) ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জনাব মুকিত মজুমদার বাবু (চেয়ারম্যান- প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন), জনাব আবুল কাশেম মোঃ সালেহ্ (রেমিটেন্স যোদ্ধা, বন্ধন উপদেষ্টা), জনাব লোকমান হাকিম (বিশিষ্ট সুরকার ও সংগীত পরিচালক) জনাব সৈয়দা রাশিদা বারী (কবি, গীতিকার, সাংবাদিক, সংগঠক, সম্পাদক) জনাব জেবিন সুলতানা কান্তা (সেরা নারী উদ্যোক্তা ও বন্ধন উপদেষ্টা), সৈয়দা কামরুন্নাহার শাহনূর (চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, সাংগঠনিক সম্পাদক- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি) মোঃ মেজবার উদ্দীন (ইউনিট ম্যানেজার সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স লিঃ) প্রমুখসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একই বছরে গত ৯মে ২০২৩ইং তারিখে বিকাল ৩টায় বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, কুমারখালীর চাপড়া ঈদগাহ মাঠ সংলগ্নে ‘বাংলাদেশ দুস্থ এতিম পথশিশু সংঘ’র উদ্যোগে এবং ‘বাংলাদেশ আধুনিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’ ও ‘ভাবনায় বাংলাদেশ’ এই দুই সংগঠনের সৌজন্যে এক মনোজ্ঞ ঈদ পূর্ণরমিলনী উপলক্ষে গণ সংবর্ধনা- ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো এ আয়োজন অনুষ্ঠানে, গীতিকার, কবি ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দা রাশিদা বারীকে ‘বাংলাদেশ দুস্থ এতিম পথশিশু সংঘ’ কর্তৃক ‘সাহিত্য রাণী’ উপাধীতে ভূষিত করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মমতাজ বেগম (মানবাধিকার কর্মী, সাধারণ সম্পাদক- কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরি, সাধারণ সম্পাদক- ঘাতক দালালনির্মূল কমিটি, কুমারখালী, কুষ্টিয়া), সংগঠনের চেয়ারম্যান: মোঃ শাহ আলম (ম্যানেজিং ডিরেক্টর- টোটাল মেশিনারী বাংলাদেশ, ইমপোটার্স গার্মেন্টস মেশিনারি) উপদেষ্টা: মোঃ রিয়াজউদ্দিন শেখ (বীর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা, আনসার- পাকিস্তান আমল)। গুনিজন ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ হলেন- ডা: মোঃ আবুল হাশিম (কবি, গীতিকার ও চক্ষু বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট (চক্ষু) – দিশা আই কেয়ার, চোড়হাস, কাষ্টম মোড়, কুষ্টিয়া, সিনিয়র কনসালটেন্ট কাম এসোসিয়েট প্রফেসর, চক্ষু বিভাগ (প্রাক্তন) বিভাগীয় প্রধান- বগুড়া ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ); শাহ্ সুফি মোঃ নকছের আলী ভান্ডারী (প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাঁশআড়া কাশিমপুর ভান্ডারিয়া দরবার শরীফ, কুমারখালী, কুষ্টিয়া, জীবন সদস্য- কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী); নুরুন্নবী বাবু (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক- দৈনিক সময়ের কাগজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব, সাধারণ সম্পাদক: এপেক্স ক্লাব-৬); দেবাশীষ দত্ত (ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক- দৈনিক আজকের আলো, সাধারণ সম্পাদক- সাংবাদিক অধিকার ফোরাম, কুষ্টিয়া জেলা)। এছাড়াও ভারতীয় অতিথি: তমা কর্মকার (কবি, সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার, সম্পাদক/প্রকাশক- কলকাতা, ভারত); সম্মানীত অতিথি: ভারতীয় সাংবাদিক- সম্পা দাস ও সমরেশ রায়; তিনারা ভারতীয় সংগঠন থেকে সৈয়দা রাশিদা বারীর জন্য ৩টা পুরষ্কার এনেছেন। তবে উপাধীবহ ২টি। ১.সাহিত্যশ^ও ২.বঙ্গেশ^র। আমন্ত্রিত অতিথি: কে. এম মামুনুর রশিদ সমাজসেবক ও অফিসার- রূপালী ব্যাংক, কুষ্টিয়া। সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক- মোঃ আশিক উদ্দিন শেখ (বি.এ- অনার্স), সভাপতিত্ব করেন- সংগঠনের সভাপতি: মোঃ কালাম শেখ (মানব দরদী ও মানবতাশীল ব্যক্তিত্ব)। সৈয়দা রাশিদা বারীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পাঠ করেছেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন- নিশান শাহজাদা।
এছাড়াও গত ১২মে, শুক্রবার ২০২৩ইং, বিকাল ৩টায় ‘হালদার মৎস্য খামার’ এর উদ্যোগে, হিন্দু ছাত্র ঐক্য পরিষদ- আশাশুনি উপজেলা শাখা ও বঙ্গবন্ধু পেষাজীবি পরিষদ আশাশুনি উপজেলা শাখার সৌজন্যে- বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার সেকেলে বিমল চন্দ্র ঘোষ জমিদারের নায়েব মানিক চন্দ্র হালদার (এনট্রান্স পাশ) এর কাচারী বাড়িতে এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এটা আন্তর্জাতিক মা দিবস ১৪ই মে- ২০২৩ইং উপলক্ষে জমিদারের নায়েবের স্ত্রী- মহিয়সী মা, ননীবালা হালদারের ১০৫তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হলো। এ আয়োজন অনুষ্ঠানে, গীতিকার, কবি ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দা রাশিদা বারীকে ‘হালদার মৎস্য খামার’ কর্তৃক ‘সরস্বতী মায়ের মানস কন্যা’ উপাধীতে ফুলাঞ্জলী ক্রেষ্ট পদক দিয়ে ভূষিত করা হয় এবং সহযোগি দুটি সংগঠনও উপাধিসহ মেডেল দিয়ে সম্মাননা জানায়। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিয়সী মা- ননীবালা হালদার (চেয়ারম্যান- হালদার মৎস্য খামার) ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তমা কর্মকার (কবি সাহিত্যিক, আবৃত্তিকার, সম্পাদক/প্রকাশক- কলকাতা, ভারত), সম্মানীত অতিথি: ভারতীয় সাংবাদিক- সম্পা দাস ও সমরেশ রায়; উপদেষ্টা সাগর হালদার (হালদার মৎস্য খামার, চেয়ারম্যান: রিস কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানেজিং পার্টনার- গার্মেন্টস কেমিক্যাল) ও সম্পাদক সিদ্ধার্থ হালদার (হালদার মৎস্য খামার, সভাপতি- হিন্দু ছাত্র ঐক্য পরিষদ, আশাশুনি উপজেলা শাখা) প্রমুখ সহ আমন্ত্রিথ অতিথিবৃদ্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেছিলেন- গোপাল হালদার (হালদার মৎস্য খামার, সম্পাদক- বঙ্গবন্ধু পেষাজীবি পরিষদ, আশাশুনি উপজেলা শাখা, সাবেক প্রভাষক- আশাশুনি মহিলা কলেজ)।
এই সমস্ত উপাধী পেয়েছেন কবি, কথাসাহিত্যিক, গীতিকার সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্যের সর্বাঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখায়। তাকে সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক লেখালেখির পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি প্রচুর পরিমাণে হিন্দু শাস্ত্রের তথা হিন্দু ধর্মের উপরেও সাহিত্য সাংস্কৃতিতে অবদান রেখেছেন। করেছেন গবেষনা ও লেখালেখি। করেছেন কিশোর ও বালক বেলার দেখা, পূজা-পার্বন পালন সম্পর্কীয় স্মৃতিচারণ। যদিও তিনি একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের। জন্ম সূত্রে ইসলাম ধর্ম প্রচারকদের বংশধর হৃদয় আত্মা বিরহ প্রেম, মুসলমান ধর্মে ১০০তে ১০০ভাগ। পৃথিবীর মসজিদ, মাদ্রাসা, দরবার শরীফ, মাজার এসবের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল। করেছেন গবেষনা ও লেখালেখি,- তার ইসলাম ভিত্তিক রচনায়ও ব্যাপক অবদান লক্ষণীয়। ইচ্ছা প্রকাশে বলেছেন পৃথিবীর মাজার এবং মসজিদের উপরে আরো গবেষণা ও কাজ করবেন। প্রকৃত ভাবেও কবি সৈয়দা রাশিদা বারী আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত। তিনি ভগবান, ¯্রষ্টা, ঈশ্বর, আল্লাহতে শ্রদ্ধাশীল ও পূর্ণবিশ্বাসী এবং মনে করেন যে, মূলে উপর আল্লাহ, একই জন।
তিনি কোন ধর্মকেই ছোট করে দেখেন না। করেন না হেলা অশ্রদ্ধা। যার ফলে দূর্গাপূজায় যে সমস্ত মন্ডুপ থেকে শারদীয় সংখ্যা বের হয়, তার লেখা প্রায় সংখ্যায় থাকে। এমন কি ভারত থেকেও বের হয়েছে দূর্গা পূজার স্মারদীয় সংখ্যায়। এটাকে কেন্দ্র করে ভারতসহ বাংলাদেশেরও ‘লুপ্তসুপ্ত জয়গুরু মহাগুরু’ নামক একটি প্রতিষ্টান তাকে ‘সাহিত্য স্বরসতী’ উপাধিতে ভূষিত ও পুরষ্কৃত করেছে। এর অর্থ এই নয় তিনি হিন্দু প্রতিনিধি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোরআন শরীফ পাঠ করতেন। তার মানে এই নয় রবীন্দ্রনাথ মুসলিম প্রতিনিধি। কোরআন শরীফের প্রথম বাংলা করেছেন গিরিশ চন্দ্র সেন, যিনি একজন জাতি ধর্মে খাস- সম্ভ্রান্ত হিন্দু। জন্মসূত্রে যে- যে ঘরে আসবে, পরিবারের সবাইকে কাদিয়ে ভাসিয়ে ধর্ম ত্যাগ করলেই- সে ভালো মানুষ হয়ে যান, কোন প্রকৃত লেখক সাধারণত এই নীতি আদর্শে বিশ্বাসী নন, তার মধ্যে সৈয়দা রাশিদা বারী একজন। তিনি আত্মঅহংকার, হিংসা, পরশ্রিকাতরতাকে আমলে নেন না বা প্রশ্রয় দেন না। যেহেতু তিনিও তো খাটি মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম লাভই করেন নি শুধু- তিনি নবীজির বংশধর থেকেও এসেছেন। তাই তিনি আল্লাহর ইবাদতে এবং রাসূলে পূর্ণ আস্থাশীল, স্বয়ংক্রিয় স্বয়ং সম্পন্ন। আসলে মণি-ঋষি মনিষীদের আধ্মাতিক জাগতিক সূচি শুদ্ধ জগতটাই এরকম। তারা আল্লাহর সৃষ্টি জগতের সব কিছুর কাছে নিজেকেই তুচ্ছ ভাবেন। ঠিক রাশিদাও তেমন, তাই বলা যাই তিনি প্রকৃত প্রকৃতি প্রেমিক ও গরীব অসহায় এতীম প্রেমিক, নবীর আদর্শে নীতিধর্মে বিশ্বাসী সম্পূর্ণ এবং সর্বোচ্চ, মানবিক মূল্যবোধে আকৃষ্ট একজন বাস্তববাদী লেখক।
আমি মনে করি তিনি একজন আধ্যাত্মিক জগতের খাটি সাধক। আর তার লেখার ধারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে মোড়ানো। কিন্তু কোন রাখ ঢাক নেই। ছাড় দেওয়া নেই। তিনি সুবিধাবাদী, দলকানা, ঘাতক-দালাল, চামচাকে এড়িয়ে যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তবে তার লেখালেখির তুলনা নেই,- এটা তার শত্রুও স্বীকার করবে। আসলেও তার লেখালেখির মাত্রা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। একজন মেয়ে মানুষের পক্ষে এটা বিরল দৃষ্টান্ত। এই বাংলাদেশে কি সামগ্রিক বিশ্বেও এমন কোন নারী লেখক আছে কিনা সেটা সন্দেহের বিষয়। এক জনমে জীবনের এতো স্বল্প সময় পরিসরে, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অবদানে বিস্তর জায়গায় তিনি ঠিক সাগরের গভীরতর জলধার মতোই পৌঁছে গেছেন। সাহিত্য সাগরসহ সাহিত্যরানী- অন্যান্য উপাধি সম্পন্ন পুরষ্কারগুলো তার জন্যই ঠিক আছে বটে। এটা তার ন্যায্য প্রাপ্তী। এতো ব্যাপক অর্জন করেছেন তিনি, যা অহংকার করারই মতোন কিন্তু এই লেখকের কোন গর্ব অহংকার দেখা যায়না।
উল্লেখ্য যে এই গুনী মানুষটি এ যাবৎ ছোট থেকে মাঝারী তথা বিশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ২শত এর উপর গ্রন্থ রচনা করেছেন। তবে প্রকাশিত গ্রন্থ ১শতটিরও উপরে, বেশকিছু উল্লেখযোগ্য অন্তত ৮০-৯০টি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়, কাজ চলছে। যা তিনি এক সংঙ্গেই দিতে চান এবং কারণ বর্ণণায় অনেক ব্যাপার আছে বলে জানিয়েছেন। এক হলো- হাড়ির একটা ভাত টিপলে যেমন সবগুলোর অবস্থান বোঝা যায় এবং কম বেশি একই সময় লাগে, এই সময়ের জন্যই। তাছাড়াও বাংলা একাডেমির বইমেলা এখন বিশাল এরিয়া সোহরায়ার্দিনে… ছুটতেই যখন হবে তখন আর ১টা ২টা নিয়ে নয়। তিনি ৪হাজারেরও বেশি গান লিখেছেন। তবে শুধু সৈয়দা রাশিদা বারীই নয়, এ যাবতকাল বেশী রচনাশীল কোন গীতিকারই জীবদ্দশায় তার নিজের রচিত সব গান প্রকাশ করেন নাই। যারা বিপুল লেখেন তাদের পক্ষে এটা সম্ভব না। লালন, নজরুল, প্রভৃতি গীতিকারের গান, পরবর্তী পুরুষ, ভক্ত উত্তরসূরী সরকারী উদ্যোগ ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রকাশ করেছে, এমনকি এখনও যা অব্যাহত আছে। তাদের অপ্রকাশিত অন্যান্য পা-ুলিপিও ছিলো। যা পরবর্তীতে প্রকাশ হয়েছে ও হচ্ছে।
সৈয়দা রাশিদা বারী সাহিত্য ও সংস্কৃতির উপরে সংবর্ধনা, সম্মাননা, পুরস্কার, ক্রেস্ট, উত্তরীয়, মেডেল, মানপত্র, শুভেচ্ছা শ্রদ্ধা ও প্রশংসাপত্র প্রভৃতি পেয়েছেন, তার কর্মের স্বীকৃতিতে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ৮৫টি। তবে উপাধী পেয়েছেন ১৮-২০টি মতো। মাশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, এ জন্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন তাকে। এটাও বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতি ক্ষেত্রের উন্নয়ন উন্নতির এক বৃহৎ- মহামূল্যবান সংযোজন। তার গর্ব যে তিনি চেয়ে এবং ধন্যা দিয়ে কখনোই কোন পুরষ্কার গ্রহণ করেন নাই। তার সৃজনশীল কর্মকান্ডের উপর নজর বিশ্লেষণে যে সংস্থা মূলায়ন করে সম্মাননা দিয়েছে, উপাধি দিয়েছে, সেটাই মাত্র তিনি গ্রহণ করেছেন কৃতজ্ঞ চিত্তে। আর তিনি স্রষ্ঠার সৃষ্টির সকল মানুষকে একই দৃষ্টিতে সমান দেখেন এবং স্নেহ ভালোবাসা, শ্রদ্ধায় ¯œাত করেন। যার প্রমান তার উপাধীগুলোই। এই উপাধীগুলো তিনি সকল শ্রেনীর মানুষের সংস্থান এবং সংগঠন থেকে গ্রহন করেছেন। আসলে তিনি মানুষটি যেমন আলাদা, তেমন চিন্তা, চেতনাও তার ্মহত ও অস¦াভাবিক। এমন বিরল মানুষটির জন্ম: সংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়া। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও চলচ্চিত্রের গীতিকার। সম্পাদক-প্রকাশক জাতীয় সচিত্র মাসিক ‘স্বপ্নের দেশ’ ঢাকা। তিনি তার এই ‘স্বপ্নের দেশ’ পত্রিকায় বেশ কিছু দিন থেকে মহান ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে কাজ করছেন। যা তিনি ভাষাসৈনিক বা ভাষা লড়াকুদের সৌজন্যে বের করেন। তিনি সার্টিফিকেট বিহিন ও সহযোগি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়েও কাজ করছেন। প্রকৃতি, নারী, শিশু, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই রিসার্চ এবং লেখালেখি করেন। মূলত: তার কলম চলে, এক প্রান্তর থেকে আরেক প্রান্তরে শেখড়ের সন্ধানে। তিনি-
সাংবাদিকতায়: ১. দৈনিক আজকের সংবাদ, ঢাকা এর বিশেষ প্রতিনিধি; ২. দৈনিক জনপদ, ঢাকা এর সাবেক বিশেষ সংবাদদাতা; ৩. দৈনিক আল আমীন, ঢাকা এর বিভাগীয় সম্পাদক/নারী ও শিশু বিভাগের প্রধান এবং পূর্বে কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ছিলেন; ৪. মাসিক ডাকপিয়ন (ঢাকা) এর সাবেক চীফ রিপোর্টার, এছাড়াও পূর্বে অন্যান্য দৈনিকে ছিলেন।
সাংগঠনিক ক্ষেত্রে: ১. প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক: শতাব্দী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র (বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলা শাখা)। ২. প্রতিষ্ঠাতা প্রধান/ভূতপূর্ব সাধারণ সম্পাদক: বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ (কুষ্টিয়া জেলা শাখা)। ৩. প্রতিষ্ঠাতা-সাধারণ সম্পাদক: আধুনিক সাহিত্য পরিষদ (কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ)। ৪. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাংলাদেশ আধুনিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ। ৫. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: বাংলাদেশ ভাষাসৈনিক প্রজন্ম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ। ৬. প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি: ভাবনায় বাংলাদেশ, ঢাকা, বাংলাদেশ। ৭. প্রতিষ্ঠাতা- নির্বাহী সদস্য: ড. মযহারুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদ (ঢাকা)। ৮. সহ-সভাপতি: বাউল তরী শিল্পী গোষ্ঠী, ঢাকা। ৯. উপদেষ্টা: ‘বন্ধন’ কালচারাল ফোরাম, ঢাকা। ১০. উপদেষ্টা: ‘শুদ্ধচিত্র বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’, ঢাকা। ১১. যুগ্ম সম্পাদক: জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা। ১২. সাবেক সহ-সম্পাদক: বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম, ঢাকা। ১৩. বিভাগীয় সচিব: জাতীয় গীতি কবি পরিষদ, ঢাকা। ১৪. নির্বাহী সদস্য: বাংলাদেশ টেলিভিশন শিল্পী সমিতি, ঢাকা। ১৫. প্রাক্তন নির্বাহী সদস্য: জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা- ঢাকা, কেন্দ্রীয় পরিষদসহ ইত্যাদি।
স্থায়ী সদস্য: ১. বাংলা একাডেমি (ঢাকা); ২. লালন একাডেমী (কুষ্টিয়া); ৩. জেলা শিল্পকলা একাডেমী (কুষ্টিয়া); ৪. বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (কুষ্টিয়া শাখা); ৫. বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ (ঢাকা); ৬. ঢাকাস্থ কুষ্টিয়া জেলা সমিতি (ঢাকা); ৭. কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী; ৮. কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরি; ৯. কবি সংসদ বাংলাদেশ, ঢাকা; ১০. ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সংস্থা, ঢাকা, ভারত; ১১. কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী পরিষদ ঢাকা, কলকাতা; ১২. সার্ক কালচারাল ফোরাম এবং ১৩. বিশ্ববঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন (ভারত) ইত্যাদি।
সম্মাননা/ পুরস্কার: ১. বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম (ঢাকা) বেগম রোকেয়া পদক; ২. বাংলাদেশ লেখিকা সংঘর (ঢাকা) সাহিত্য সংবর্ধনা; ৩. বাংলাদেশ কবিতা সংসদ (পাবনা) বাংলা সাহিত্য পদক; ৪. সুললনা স্বাধীনতা পদক (রাজশাহী); ৫. নোঙর সাহিত্য পুরস্কার (ঈশ্বরদী); ৬. সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী সাহিত্য পুরষ্কার (সিরাজগঞ্জ); ৭. আরশী নগর বাউল সংঘ (রাজবাড়ী) সাহিত্য পুরস্কার ; ৮. জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা; ৯. শতাব্দী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের সম্মাননা; সাংবাদিকতা এবং সাহিত্যের উপর; ১০. কুষ্টিয়া উন্নয়ন পরিষদ এর স্বর্ণপদক ও নাগরিক সংবর্ধনা; ১১. সাপ্তাহিক বিচিত্র সংবাদ পত্রিকার সাহিত্য সম্মাননা; ১২. কবি বে-নজীর আহমদ; ১৩. জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি; ১৪. বাউল তরী; এছাড়া ভারতের ১৫. আন্তর্জাতিক আলো আভাষ; ১৬. আন্তর্জাতিক বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন এর আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরষ্কার; ১৭. ‘এবং বাউল’ পত্রিকা; ও ১৮. ‘কুশুমে ফেরা’ সংস্থা হতে, নেতাজি সুবাস স্মৃতি পুরস্কারসহ ভারতেরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪টি সংবর্ধনা ও সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সৈয়দা রাশিদা বারী দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থী। আমাদের পত্রিকার পক্ষ থেকে অভিনন্দনসহ সাহিত্যের উজ্বল ভবিষ্যত ও সুস্বাস্থ্য দীর্ঘায়ু কামনা করছি।