ডেঙ্গু এখন সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। অপরাপর বছরের তুলনায় চলতি বছর আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যাও অনেক বেশি। বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডেঙ্গু জ্বর নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনার ও সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান।
প্রিভিলেন্স রিস্ক অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ডেঙ্গু ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন। আর ‘ডায়গনসিস অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট অব ডেঙ্গু’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থান করেন বিএমএ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিএসএমএমইউয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক। বক্তব্য রাখেন মুগদা মেডিকেল কলেজের (মুমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুস্তফিজুর রহমান।ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ডেঙ্গু এখন জনস্বাস্থ্য সমস্যা। সারা বছর ভয়ের ভেতর থেকে জনস্বাস্থ্য সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। নগর ছাড়িয়ে এই রোগ এখন ছড়িয়েছে গ্রামেও। গতবার আমরা দেখেছি শীতের সময়ও ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আগে এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়াত বলে আমরা জানতাম। এও জানতাম স্বচ্ছ পানিতে এডিস বংশ বিস্তার করে।
কিন্তু গবেষণা বলছে এডিস মশা দিন রাতের বিভেদ ভুলে যেকোনো সময় কামড়ায়। নোংরা পানিতেও তারা বংশ বিস্তার করছে। ফলে দ্রুতই এডিস এবং ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটছে। গত বছর দেখেছিলাম অক্টোবরে ডেঙ্গুর পিক সিজন ছিলো। কিন্তু এ বছর দেখা যাচ্ছে, খুব আগেই ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে। গত বছরের এক গবেষণায়, দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি মিলেছে। তার মানে বোঝা যাচ্ছে অধিকাংশ মানুষই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আমাদের এডিস মশা নির্মূলের পাশাপাশি জনগণকেও এই কাজে সম্পৃক্ত করতে হবে।কপি নবচেতনা।