মুক্ত খবর 24 কম ডেস্ক নিউজঃ পতেঙ্গা সিবীচ -এ টুরিস্ট পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে নুর আলম ও জামাল গংদের বেপরোয়া চাদাঁবাজি পতেঙ্গা সিবিচে পুলিশের নামে ভুয়া চেকপোষ্ট বসিয়ে চলছে বছরের পর বছর বেপরোয়া চাদাঁবাজি।
চাঁদাবাজির টাকা চলে যাচ্ছে পতেঙ্গা সিবীচ কে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তারকারী সিন্ডিকেটের হাতে। নুর আলম ও জামাল গংদের অ‣বধ ও কর্মকান্ডে পতেঙ্গা সমুদ্র ক্সসকতে নিজস্ব আইনে পরিনত হয়েছে। পতেঙ্গা টুরিস্ট পুলিশ চেকপোষ্টের দুশত গজের মধ্যে এমন ঘঠনা ঘটলেও টুরিস্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানান তারা এ বিষয় কিছুই জানেন না।
পতেঙ্গা সমুদ্র ‣সকত চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য বিনোদন ও অবকাশ যাপনের দর্শনীয় স্থান হলেও চাদাঁবাজদের ক্সনরাজ্যে সেই পরিবেশ হারাতে বসেছে। প্রতিনিয়ত নাজেহাল ও প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে সিবিচে আগত দর্শনার্থীরা। গত একমাস আগে সিতাকুন্ড এলাকা থেকে আগত এক দর্শনার্থীর পার্কিং এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার চুরি হয়ে যায়।
গত শুক্রবার ২১ শে এপ্রিল চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা মাহবুবুল আলম সুমনের পতেঙ্গা সিবীচ পার্কিং থেকে একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়ে যায়। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন পর্যটন ও এলাকায় পুলিশ চেক পোষ্টের নামে চাদাঁবাজীর কোন নিয়ম ও ক্সবধতা নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
মোঃ জামাল ও নুর আলম গংদের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণে পতেঙ্গা সিবীচে প্রবেশ পথে গাড়ী ঢুকতে দর্শনার্থীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়, গাড়ী ভেদে গুনতে হয় ১০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি মাসে চেক পোষ্টটি থেকে দশ থেকে বারো লক্ষ টাকা চাদাঁ তোলা হয়। টুরিস্ট পুলিশ ও প্রশাসনের সামনে টোকন বিহীন এই রমরমা বাণিজ্য প্রকাশ্যে চললেও টুরিস্ট পুলিশ কোন প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা বলে জানান, সিএনজি চালক ও অন্যান্য পরিবহণ চালকদের অভিযোগ শৃংঙ্খলার নামে চাদাঁবাজী রেহায় পায়না কেউই।
আ: হামিদ নামে সিএনজি চালক জানান, এখানে ঢুকতে গেলেই ওদের টাকা দিতে হয়। দূর থেকেই সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। কেউ যদি টাকা না দেয় হাতাহাতির মত ঘটনা ঘটে থাকে বলে অভিযোগ করেন। এই চাদাঁবাজির নেপথ্যে রয়েছেন স্থানীয় মো: জামাল ও নুরে আলম ও ওদের একটি বাহিনী। পূর্বে চাদাঁবাজির ঘটনায় জামালের নামে মামলা হলেও পাল্টায়নি পুরনো দৃশ্যপট বরং এখন যেনো টুরিস্ট পুলিশের সু-ব্যবস্থায় টাকা আদায় করছেন তারা।
ওদিকে অভিযুক্ত জামালের সাথে কথা বললে তিনি জানান, খুশি হয়ে কেউ ১০ টাকা ২০ টাকা দিলে নেন তারা। তথ্য মতে ট্রাক, বাস ও অটো রিকশা যেনো ‣সকত এলাকায় ঢুকতে না পারে এবং ছুটির দিনে অতিরিক্ত যানযট মোকাবেলায় টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায় ‣দনিক ৫০০ থেকে ৬০০শ গাড়ি প্রবেশ করা এই ‣সকতের চেক পোষ্ট থেকে উঠে গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার। সপ্তাহের শুক্রবার ও ছুটির দিনে সেই টাকার পরিমাণ দাড়ায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার।
খোদ পুলিশের সামনে চাদাঁবাজি ও স্থানীয় চালকদের অভিযোগের ভিত্তিতে কথা বলা হয় টুরিস্ট পুলিশের পতেঙ্গা সাব-জোনের অফিসার ইনচার্জ মো: ইসরাফিল মজুমদারের সাথে। তিনি জানান আমাদের টুরিস্ট পুলিশের লোকবল সংকটের কারণে সড়ক শৃঙ্খলার জন্য চেকপোস্টে তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা যেহেতু গাড়িগুলো দেখাশোনা সহ জানজট নিরসনে কাজ করে তাই সালাম দিলে কেউ খুশি হয়ে তাদের ৫-১০ টাকা দেয় এবং তারা সেগুলোই নেয়। প্রতি গাড়ি থেকে তারা জোর করে কোন টাকা তুলে না।
আমি আপনাদের মাধ্যমেই চাদাঁবাজির বিষয়টি শুনতে পেরেছি। চাদাঁবাজি বিষয়ে আমার জিরো টলারেন্স নীতি। কেউ যদি সত্যিই চাদঁবাজি করে এবং সেটির যদি সত্যতা মিলে তাহলে অবশ্যই আমি তাদের বিরুদ্ধে অতি শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম টুরিস্ট পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ বলেন, আমাদের দায়িত্ব সিবীচের শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং দর্শনার্থীদের সেবা প্রদান করা। টুরিস্ট পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে যদি কেউ বীচ এলাকায় চাদাঁবাজি করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে
Discussion about this post