এদেশে জন্মগ্রহণকারী কেউই সংখ্যালঘু নয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তারা যে ধর্মেরই হোক, কেউই সংখ্যালঘু নয়- বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘নিজেদের সংখ্যালঘু ভাববেন না। এখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে কিছু নেই।’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবনে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এখন দেশে ধর্মীয় কোনো বৈষম্য নেই জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখানে যোগ্যতা দেখেই মূল্যায়ন করা হয়, ধর্মীয়ভাবে কোনো চিন্তা করা হয় না। বাংলাদেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ।’ তিনি বলেন, ‘এদেশে সব ধর্মের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই নীতিতে সরকার বিশ্বাস করে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কে জাতীয় পার্টি, কে বিএনপি, কে আওয়ামী লীগ, বা কে হিন্দু, কে মুসলমান, কে খ্রিষ্টান, তা দেখে সেবা করি না আমরা। সব রক্তের রং লাল। মুক্তিযুদ্ধে সবার রক্ত মিশে গেছে এক স্রোতে। তাই এই দেশ সবার।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘সরকার সব ধর্মের উন্নয়নে সমানভাবে কাজ করছে। মসজিদভিত্তিক শিক্ষার যেমন ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি মন্দিরভিত্তিক শিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হিন্দুরা মন্দিরে যাবে, মুসলিমরা মসজিদে যাবে। সবাই প্রাথমিক শিক্ষা পাবে।’
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ভূলুণ্ঠিত করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালায়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শ্রী কৃঞ্চের আবির্ভাব হয়েছিল দুষ্টের দমন শিষ্টের লালনের জন্য।’ সেই শিক্ষা বাস্তবায়নের তাগিদ দেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘সব ধর্মের মর্মবাণী এক ও অভিন্ন। ভাষা হয়ত ভিন্ন হতে পারে।’
আমাদের দেশের কিছু মানুষ বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বদনাম করে। এদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। কপি নবচেতনা
Discussion about this post