বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. রহমত আলীর জানাজার নামাজ গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮/০২/২০২০ইং- রোজ মঙ্গলবার।
গাজীপুর রাজবাড়ি মাঠে সকাল ১০ ঘটিকায়।
ভবানীপুর মুক্তিযোদ্বা ডিগ্রী কলেজ মাঠে সকাল ১১:৩০ ঘটিকায়।
শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ মাঠে বিকাল ৩ ঘটিকায়।
এদিকে রোববার বিকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় রহমত আলীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কফিনে রাষ্ট্রীয় সম্মান (গার্ড অব অনার) প্রদান করা হয়।
রহমত আলীর কফিনে প্রথমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে তার রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে আলাদাভাবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রহমত আলীর কফিনে শ্রদ্ধা জানান।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় গাজীপুর-৩ আসনের পাঁচবারের এমপি রহমত আলীর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন রহমত আলী। ডায়াবেটিস ও কিডনির জটিলতাও তার ছিল। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, বিরোধীদলীয় নেতার পক্ষে বিরোধীদলীয় হুইপ পীর ফজলুর রহমান কফিনে শ্রদ্ধা জানান।
জানাজায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জাতীয় হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নব-নির্বাচিত মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, জাতীয় সংসদের সদস্য, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিমসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় নেতা, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শরিক হন।
এর আগে মরহুমের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন হুইপ ইকবালুর রহিম। মরহুমের কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং পরিবারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. জামিল হাসান দুর্জয়।
পরে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শরিক হন।