প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের গৃহহীন-ভূমিহীনদের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশে আর কোন গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ থাকবে না।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে নগর ও গ্রাম অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আমাদের সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আগামীকাল ‘বিশ্ব বসতি দিবস’ উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্ব বসতি দিবস’ পালনের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও দিবসটি পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’ কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ের জন্য যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের জনসাধারণের সার্বিক উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেন; যাতে দেশের সকল মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় এবং একই সঙ্গে নগর ও গ্রামাঞ্চলের সুষম উন্নয়ন হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার নগরগুলোকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যেমন: মেট্রোরেল প্রকল্প, পদ্মা সেতু প্রকল্প, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প, বিভিন্ন উড়াল সড়ক নির্মাণ প্রকল্প এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প নগরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে।
’তিনি বলেন, শহরগুলো হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দু। নগরায়ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফল নয় বরং এর প্রকৃত চালিকা শক্তি। শহরগুলির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারের জন্য স্থিতিশীল নগর অর্থনীতি অপরিহার্য। নগরের অর্থনীতি স্থিতিশীল না হলে কী ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে কোভিড-১৯ এর সময় তা লক্ষ্য করা গেছে। কোভিড-১৯ বিশ্বের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারাকে মন্থর করে দিলেও আমাদের সরকার এ অতিমারি মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্য দেখিয়েছে, যা আজ বিশ্বে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ হতে ২৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা শিগগিরই ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে স্থিতিশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে দেশের আপামর জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা পাবো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এ লক্ষ্যে আমরা ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। বাস্তবায়িত হবে জাতির পিতার আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৩’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। কপি নবচেতনা
Discussion about this post