বাঘাইছড়ি উপজেলায় টানা ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে ও পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার নি¤œাঞ্চল সমূহ তলিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার কাচাঁলং নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। এর ইমধ্যে বাঘাইছড়ির নিচু অঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। গত ৩ মাসের ব্যবধানে এটি তৃতীয় বারের বন্যা।
অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলাধীন দীঘিনালার কবাখালীতে সড়কের একাংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাঘাইছড়ি থেকে দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলায় দূর পাল্লার যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে গিয়ে রাঙ্গামাটির সাজেকসহ বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলা সঙ্গে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাজেক যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ডুবে যাওয়ায় পানি না কমা পর্যন্ত আটকা থাকবেন সেখানে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।
এদিকে, বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতলী সড়ক ও পৌর এলাকার উগলছড়ি সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের উগলছড়ি, বেপারী পাড়া, নিউলাইল্ল্যা ঘোনা এবং পৌরসভার বটতলী, মাদ্রাসা পাড়া, হাজী পাড়ার কিছু অংশ পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আখতার জানান, বাঘাইছড়িতে আবারো বন্যার আশংখা দেখা দিয়েছে। তাই উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৫৫ এলাকায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং বন্যা দূর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। বুধবার (২১ আগষ্ট) সকাল থেকে কিছু আশ্রয় কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্থরা আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছে। যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্য সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সাজেক সড়কের দীঘিনালার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গত সোমবার ও মঙ্গলবার সাজেকে যারা বেড়াতে এসেছেন তারা মূলত আটকে পড়েছেন। আনুমানিক পর্যটকের সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক হবে।
এদিকে বাঘাইছড়ির মাটি ও মানুষকে বন্যার কবল থেকে রক্ষায় বাঘাইছড়ির বেশ কিছু স্থানে বেঁড়িবাধ নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়েছে বাঘাইছড়িবাসী।
Discussion about this post