চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি খলিলুর রহমান গভীর উদ্বেগের সাথে বলেন যে, করোনাভাইরাস এর প্রভাবে দেশের আমদানি-রপ্তানি, বিশেষ করে রপ্তানি বাণিজ্য, রেমিটেন্স প্রবাহ এমনিতেই মন্দা অবস্থা বিরাজমান। এমতাবস্থায়, পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই হঠাৎ করে প্রাইম মুভারের চালক ও সহকারীদের কর্ম বিরতির ফলে রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার না নিয়ে বিদেশী জাহাজ বন্দর ত্যাগ করে। বিষয়টি বহির্বিশে^ বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা আমাদের সক্ষমতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সহায়ক। ইতিমধ্যে ৩দিন পার হয়েছে এবং অতীতেও এমন ঘটনা আমরা লক্ষ্য করেছি, যা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল সহ বিদেশী বিনিয়োগকারী আকর্ষনে সরকারী উদ্যেগের পরিপন্থী।
ব্যবসা ব্যয় কমানো, ব্যবসার পরিবেশ উন্নতি এবং ব্যবসা সহজীকরন নীতির পরিপন্থী কার্যক্রমের প্রতি সরকারের বিশেষ দৃষ্টি কাম্য। বৈধ-অবৈধ যে কোন সংগঠনের কার্যক্রম প্রচলিত আইন বিরোধী হওয়া অগ্রহনযোগ্য। সিএমসিসিআই মনে করে যে, স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সহ ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাহত করে এমন যে কোন কার্যক্রম মোকাবেলায় সরকারের সক্ষমতার ব্যবহার কাম্য। ব্যবসায়ী মহল অস্তিত্ব রক্ষার সংকটে পড়লে দেশ, শ্রমিক এবং সরকার সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কোন অবস্থাতেই আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য জিম্মি করা কাম্য নয়। বিষয়টির দীর্ঘ মেয়াদী সুরাহা করা না হলে ব্যবসায়ী ক্ষতি সহ ব্যাংক ঋণখেলাপী বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা থেকেই যায়। অনতিবিলম্বে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু করে সংশ্লিষ্ট মহলের সক্ষমতা দেখে এবং বিরাজমান অর্থনীতির চলমান সমস্যাবলী বিবেচনায় নিয়ে সমস্যা সুরাহা হওয়া কাম্য।
Discussion about this post