স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজধানী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ের হাসপাতালগুলোও প্রস্তুত করা হয়েছে। সঠিক পথে এগোচ্ছে দেশ।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণমাধ্যমের কার্যক্রমেরও প্রশংসা করেন। বলেন, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক অনলাইন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীদের সঠিক প্রচারণার কারণে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে কী করতে হবে তা সকলেই জেনে গেছেন। পাড়া-প্রতিবেশীরাই বিদেশফেরত যাত্রীদের বাসায় অবস্থানের কথা বলছেন।
মন্ত্রী বলেন, দুই মাস আগে থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। সার্বিকভাবে এখন পর্যন্ত ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে রোগটির সংক্রমণ প্রতিহত করা গেছে। এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের দুজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যেকোনো সময় তাদের রিলিজ দেয়া হবে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছেই। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বুধবার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশ্বে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৬ হাজার ৩০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন চার হাজার ৬৩৩ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ৬৮ হাজার ২৮৫ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিশ্বের ১২৪টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৯৬ এবং মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ১৬৯ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৪৬২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ৮২৭ জনের।
Discussion about this post