করোনাভাইরাসের থাবায় ক্রিকেটাঙ্গনেও লেগেছে বড় ধাক্কা। ইতিমধ্যেই অনেক আন্তর্জাতিক সিরিজ, টুর্নামেন্ট বাতিল হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলও পড়ে গেছে ঘোর অনিশ্চয়তায়।
দুই সপ্তাহ পিছিয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল। যদিও টুর্নামেন্টটি যে কোনো মূল্যে মাঠে গড়াতে এখনও বদ্ধপরিকর আয়োজকরা। তবে তারা চাইলে কি হবে, এবার নানামুখী বিপদে পড়বে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রিকেট লিগ
নিয়ম অনুযায়ী, ঘরোয়া লিগ বন্ধ হলেও খেলোয়াড়রা চাইলে আইপিএলে অংশ নিতে পারবেন। সিএ’র প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্ট জানিয়েছেন, খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগতভাবে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে চুক্তি করেছেন, তাই তারা খেলবেন কি খেলবেন না, সেই সিদ্ধান্তও তাদেরই।
তবে বাস্তবতা হলো, কোনো খেলোয়াড়ই সিএ’র নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) বা অনাপত্তিপত্র ছাড়া আইপিএল কিংবা যুক্তরাজ্যে হান্ড্রেট টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন না। আর সেটা বোর্ড দেবে কি না, নিশ্চিত করে বলছে না।
ফক্স স্পোর্টসের এক প্রতিবেদনে এসেছে, সিএ সাধারণত প্রতি বছরই আইপিএলে খেলোয়াড়দের এনওসি দেয়। তবে এবারের বিষয়টি আলাদা। সিএ’র প্রধান নির্বাহী রবার্ট মনে করছেন, আলাপ আলোচনা আর পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন খেলোয়াড়রা। প্রয়োজনে তাদের না খেলার ব্যাপারে বোর্ডের নির্দেশনাও আসতে পারে।
যদি সত্যিই এমন কিছু হয়, তবে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন। আইপিএলে বেশ দামেই বিক্রি হয়েছেন প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলরা।
আইপিএলের নিলামে কামিন্স ছিলেন বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে দামি। কলকাতা নাইট রাইডার্স অস্ট্রেলিয়ান এই পেসারকে কিনেছে সাড়ে ১৫ কোটি রুপি দিয়ে।
Discussion about this post