কভিড নিয়ে গণপরিবহন বন্ধসহ নানা পদক্ষেপে চট্টগ্রাম এখন ফাঁকা নগরী। ঈদ ছাড়া বন্দরনগরীতে চট্টগ্রামে এ চিত্র চিন্তাও করা যায় না। ফাঁকা চট্টগ্রামের বিভিন্ন জনবহুল জায়গায় বিরাজ করছে সুনশান নীরবতা।
যানজটের কারণে চট্টগ্রামের রাস্তায় উধাও যানজট, যানবাহনের অভাবে খাঁ খাঁ করছে বিভিন্ন সড়ক।
ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু হয়েছে টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটি, যা শেষ হবে ৪ এপ্রিল। তাই ঝুঁকি এড়াতে কেউ আছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে আবার কেউ ছুটেছেন গ্রামে। ঝুঁকিপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে পরিবারের কাছে থাকাতেই স্বস্তি খুঁজছেন তারা।
এ অবস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন বলা না হলেও, মানুষ কার্যত গৃহবন্দী। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ।
এদিকে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিত করতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামের রাস্তায় চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ। এ সময় সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে।
প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় থাকতে দেয়া হবে না। কেউ বের হলে তাকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হবে। তবে সংবাদপত্রসহ জরুরি সেবা আওতামুক্ত থাকবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম গনমাধ্যমকে জানান, সড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলে তাকে বাসায় ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া হোম কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থা পর্যালোচনাসহ প্রশাসনকে সহায়তা করছেন সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত মঙ্গলবার বলা হয়েছে, আজ থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের ছুটি বা সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং আদালতের জন্য প্রযোজ্য। সংবাদপত্রসহ অন্যান্য জরুরি কার্যাবলির জন্য এই নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।