ডিসি সুলতানাসহ ৪ কর্মকর্তার বেতন বন্ধ,সাংবাদিককে হয়রানি করার ঘটনায় বিভাগীয় মামলা

সাংবাদিককে হয়রানি করার ঘটনায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি মোছা. সুলতানা পারভীনসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে কেন তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না- সেই বিষয়ে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত থাকায় তারা এখন বেতনও পাচ্ছেন না।

 

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ডিসিসহ চারজনকে জনপ্রশাসনে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়েছে। ওএসডি থাকাকালে তাদের বেতন বন্ধ থাকে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ওখান (কুড়িগ্রাম) থেকেও একটি মামলা হবে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, জামালপুরের জেলা প্রশাসকের (নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা) মতো এরপর তাদের শুনানির সম্মুখীন হতে হবে। দোষের মাত্রা ও সার্ভিস রুলস অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শুনানি শেষে তাদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাজিমুদ্দিনসহ দুই-তিন জনের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের তদন্ত শেষে দুদককেও বলবো তাদের দুর্নীতি তদন্ত করার জন্য।

তিনি বলেন, নাজিম উদ্দিন উখিয়াতেও ঝামেলা করেছিলেন। একজন ছোট অফিসার জয়েন করে কোটি টাকা কামাই করেছেন, এটা মানা যায় না।

 

তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা থাকবে। এটা উদাহরণ হবে সবার জন্য। তাদেরকে শাস্তি দিয়ে অন্যকে শেখানো যে দুর্নীতিকে এই সরকার টলারেন্স করবে না। আমরা জনমুখী ও জনবান্ধব প্রশাসন গড়বো, যোগ করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী।

এদিকে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, গত ২৩ মার্চ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

 

এর আগে গত ১৩ মার্চ মধ্যরাতে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় জেলা প্রশাসন। তখন ঘরে কোনো তল্লাশি চালানো না হলেও পরে ডিসির কার্যালয়ে নেয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। এই ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

 

এ ঘটনায় ১৫ মার্চ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজিম উদ্দিন এবং সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামকে পরবর্তী পদায়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।