মো:ইমাম উদ্দিন সুমন,স্টাফ রিপোর্টার:করোনার প্রভাব পড়েছে সারা বিশ্বে, তারই ধারাবহিগতায় লকডাউন হয়ে যাওয়া বাংলাদেশেও আতঙ্কের শেষ নেই মানুষের মাঝে, সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দিনমজুর পরিবার গুলো, এমন অনেক পরিবার আছেন যারা র্কমহীন হয়ে পড়ায় বর্তমান সময়ে তারা একটি সাবান কেনারও সার্মথ্য নেই।
সম্প্রতি কিছ কিছূ সামাজিক সংগঠন এবং বিত্তবানসহ স্থানীয় যুবকরাও যার যার সার্মথ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এমই একজন হলেন সুবর্ণচরের কৃতি সন্তান স্টেট ইউনিভার্সিটি ফার্মেসী বিভাগের ছাত্র, ঢাকা মহানগর (উত্তর) ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সুবর্ণচর উপজেলার কৃতিসন্তান আব্দুল্যাহ আল মাসুদ তারেক।
দিনমজুর কর্মহীন পরিবারের সচেতনতা বাড়াতে তৈরী করেছেন মেডিকেল টিম সেই সাথে নিরাপদ দূরত্বে থেকে বিনামূল্য বিতরণ করছেন হ্যান্ডস্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড গ্লাবস। নিজ উদ্যোগে এসব পণ্য সামগ্রী মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছেন তার মেডিকেল টিমের সমস্যরা । এ কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
“আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হই” স্লোগানকে সামনে রেখে অসহায়, দুস্থ এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের করোনার ভয়াল থাবা থেকে বাঁচাতে সম্প্রতি তিনি নোয়াখালী পৌরসভা, চৌমুহনী পৌরসভা, সেনবাগ এবং ফেনীর প্রায় ১ লক্ষ মানুষের জন্য তিনি এই হ্যান্ডস্যানিটাইজার তৈরী করেন সে কাজের পারিশ্রমিকের টাকা দিয়েই নিজ এলাকায় জরুরী পন্য পৌছে দিচ্ছেন ।
সরবরাহকৃত বেশিরভাগ স্যানিটাইজারের কেমিষ্ট হিসেবে কাজ করেছেন তারেক মাসুদ। ক্যামিকেল সংগ্রহ, প্যাকেজিং এবং মাঠ পর্যায়ে পৌঁছানোসহ যাবতীয় সকল কাজের মূল দায়ীত্ব পালন করেন তারেক মাসুদ।
তার এই কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সুবর্ণচর উপজেলার বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ছায়েদুল হক ভূইয়া, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডাক্তার আব্দুর রবসহ এলাকার মান্যগণ্য ব্যাক্তিবর্গ।
তারেক ২০১৩ সালে সুবর্ণচর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ শহীদ জয়নাল আবেদিন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ৫ নিয়ে এসএসসি পাশ করেন। তার পর তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন এবং কৃতিত্বের সহিত ইন্টারমেডিয়েট শেষ করেন। বর্তমানে তারেক স্টেট ইউনির্ভাসিটি ফার্মেসী ডিপার্টমেন্টে অধ্যয়নরত। আব্দুল্যাহ আল মাসুদ তারেক সুবর্ণচর উপজেলার ৫ নং চরজুবলী ইউনিয়নের পশ্চিম চরজুবলী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা আবুল কালাম পাঞ্চায়েত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
তার এই উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তারেক মাসুদ বলেন, “আমরা সবাই মানুষ একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে। তাই এমন কিছু কাজ করে যেতে চাই যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়, আমি চাই সারা বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ থাকুক, সবাই যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে এলে করোনা মোকাবেলা সম্বব হবে, যদিও এখনো
নিম্নআয়ের মানুষ গুলো সচেতন নয় তাই তাদের সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন, আমরা চেষ্টা করছি সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে হ্যান্ডস্যানিটাইজার ব্যাবহারের উৎসাহিত এবং সচেতন করতে। সবাই যদি সচেতন হয় তাহলে আমরা ভয়াবহ চলমান করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে পারবো”।
তারেক ২০১২ সালে ছাত্র রাজনৈতিতে পদার্পণ করেন সে থেকে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের আদর্শ ধারন করে বলিষ্ঠ নেন্ত্রীত্বে তারই বড় ভাই জাবেদ সুবর্ণচর উপজেলার তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা। তারেকের বলিষ্ঠ নেন্ত্রীত্বে মুগ্ধ হয়ে গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর (উত্তর) কমিটিতে তাকে সহ-সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।