মেয়র নাছির মধ্যবিত্তদের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিলেন”

করোনায় চট্টগ্রামে গৃহবন্দী কর্মহীন-অসহায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে এতোদিন খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ বিতরণ করেছেন সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।

 

এখন কর্মহীন-অসহায় নিম্নআয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।

 

আজ ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গণভবন থেকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে চট্টগ্রামে করোনায় গৃহবন্দী গরীব নিম্নআয়ের মানুষদের পাশাপাশি এখন থেকে মধ্যবিত্ত পরিবারদের তালিকা তৈরী ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া কথা তিনি সাথে সাথেই পূরণ করলেন।

 

প্রথমদিনেই সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে যারা ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন। এরকম ৪৭ মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী  পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীনের প্রতিনিধি হিসেবে ক্রীড়া সংগঠক আবদুর রশীদ লোকমান এই ৪৭ পরিবারের কাছে মেয়রের খাদ্য সামগ্রী গোপনে পৌঁছে দেন।

 

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) রাতে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে করোনায় গৃহবন্দী মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষনা দেন। নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে বসবাস করা মধ্যবিত্ত পরিবারের নাগরিকরা তাদের মোবাইল নাম্বার ও ঠিকানা জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পেইজে(মেসেজ করলে গোপনে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।

 

এই ব্যাপারে সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ব শেখ হাসিনা ভয়াবহ করোনার বিস্তার রোধে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে অন্যতম কর্মহীন ও নিম্নজীবি মানুষের পাশাপাশি  মধ্যবিত্ত পরিবারেরও পাশে দাঁড়ানো। তাই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত এই কর্মসূচীর জন্য আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে সুন্দরভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায়।

 

তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে যে সকল মধ্যবিত্ত পরিবার আর্থিক কষ্টের কারণে চাল-ডাল কিনতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তারা আমার এই পেজে অথবা এসএমএস-এর মাধ্যমে জানাতে পারেন। যা থাকবে গোপন। অবশ্যই মোবাইল নম্বর পূর্ণ ঠিকানা দিতে হবে, যাকে যাচাই বাচাই করে সঠিক কিনা জানতে পারি।

 

এখানে কোন সংঘ, কিংবা গোষ্ঠী কে তালিকা ভুক্তি করা হবে  না। শুধু একটি পরিবার, একটি এসএমএস-এর ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করা হবে। কোন স্বচ্ছল ব্যাক্তি আর যে সকল দরিদ্র কর্মহীন বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পেয়েছেন তারা  এসএমএস করবেন না।