রাস্তায় বেরোলেই করোনার কবলে পড়তে পারেন। তাই দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এরপরও রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে অসচেতন কিছু মানুষকে।
আর তাদের জন্যই পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী দহল দিচ্ছে রাস্তায়। মনে রাখবেন তারা আপনাদের তথা দেশের মানুষকে বাচাঁতেই মাঠে নেমেছেন।
পৃথিবির সবচাইতে ধনি ও শক্তশালী দেশগুলো আজ অসহায় হয়েছে পড়েছে প্রানঘাতি করোনাভাইরাসের কাছে।
আমরা বাংলাদেশের ছোট্র একটি শহরের বাসিন্দা। আল্লাহ্ পাকের দরবারে লক্ষ কোটি শুকরিয়া জানান।
এখন পর্যন্ত আমাদের রাজশাহী নগরীতে কোন করোনা ভাইরান সংক্রমিত রোগী পাওয়া যায়নি। বা আজ পর্যন্ত এ ভাইরাসে কোন ব্যক্তি মারা যায় নি।
নিজ নিজ ঘরে থাকুন, নামাজ পড়–ন, আল্লাহকে ডাকুন।
আপনি পুলিশ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভাবছেন আপনি একজন বাহাদুর মানুষ। একবার ভাবুন তো , আপনি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হলে আপনার পুরো পরিবারের মানুষের মাঝে এ ছড়িয়ে পড়বে। তখন আপনার বাহাদুরির রেজাল্ট কি দাঁড়াবে ?
আজ রাজশাহীবাসি নিরাপদে থাকার কারন হিসেবে সচেতন মহল বলছেন, সময় মতো আরএপি পুলিশ কমিশনার, বিভাগীয় পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, (এমপি) ফজলে হোসেন বাদশা, রাসিক মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জাম লিটন-এর সঠিক সয়য়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
তা হলো: রাজশাহীর সাথে সকল জেলা ও বিভাগগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সর্বক্ষনিক প্রশাসনিক কঠোর নদরদারি। সেনা বাহিনীর ব্যপক তৎপরতা। সব মিলে আমরা রাজশাহী নগরীর মানুষ আজ আবদি নিরাপদে রয়েছি।
আর এই কঠোরতা সরকারী দির্দেশ না মেনে রাস্তায় বের হওয়া মানুষকে সচেতন করাই তাদের মূল উদ্যেশ্য।
এর আগে প্রশাসনের নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজশাহীতে আর কাউকে ঢুকতে বা বেরোতে দেওয়া হবে না। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না।
রাজশাহী মহানগর এলাকায় করোনাভাইরাসের চরম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি উল্লেখ করে পরবর্তি নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব বন্ধ রাখতে আদেশ জারি করেছেন আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার।
প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকে সন্ধ্যার পর রিকশা, মাটরসাইকেলসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
রাজশাহীতে ঢোকার যতগুলো পথ আছে সবখানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোষ্ট।
এছাড়াও গনমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় মহানগর এলাকা করোনাভাইরাস এর বর্তমান চরম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। আরএমপি এলাকায় এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার রাজশাহী মহানগরবাসীকে তিন দফা নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন।
এগুলো হলো- প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টার পর হতে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ঔষধের দোকান ব্যতীত সকল প্রকার দোকান বন্ধ থাকবে। রাজশাহী মহানগরের বাহির হতে কোন প্রকার যানবাহন বা ব্যক্তি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া মহানগরে প্রবেশ করতে পারবেন না। মহানগরের কোন বাসিন্দা জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত বাড়ির বাইরে বের হবেন না এবং অযথা কোন যানবাহন নিয়ে রাস্তায় চলাচল করা যাবে না।
তবে জরুরী সেবা, চিকিৎসা সেবা, ভোগ্য পণ্য, কৃষি পণ্য, রপ্তানিপণ্য ইত্যাদি পরিবহনকার্যে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন এ নির্দেশের আওতামুক্ত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বলবৎ থাকবে এবং নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগরীতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ যান চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরান সেনাবাহিনী। এছাড়া নগরীর মনিচত্ত্বর, সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, কুমারপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে চেক পোস্টের মাধ্যমে বাহিরে বের হওয়া প্রায় প্রতিটি মানুষকেই জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়। আর নগরের প্রবেশ পথগুলোতেও রয়েছে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ও র্যাব। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল।