সাংবাদিক ছাড়া সংবাদপত্র সাদা কাগজ।’ নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব) -এর আইনজীবীর এ বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ‘সাংবাদিক ছাড়া আপনাদেরও (মালিকপক্ষের) অস্তিত্ব নাই।’
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে নবম ওয়েজবোর্ড সংক্রান্ত শুনানিতে এসব কথা হয়।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘সরকার হলো এক্ষেত্রে অ্যাম্পায়ারের মত। সাংবাদিক ও মালিক উভয় পক্ষের স্বার্থই সরকার দেখবে।’
সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশে স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি আজ শেষ হয়েছে। এরপর আপিল বেঞ্চ এবিষয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) আদেশের দিন ধার্য করেছেন। আজ আদালতে ‘নোয়াব’র পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ।
এরআগে নবম ওয়েজ বোর্ড চূড়ান্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব) এর সভাপতি ও দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে গত ৬ আগস্ট বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ নবম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করে রুলসহ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট তার রুলে শ্রম আইনের ১২৮ বিধি অনুযায়ী অংশীজনদের আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে নবম ওয়েজ বোর্ডের চূড়ান্তকরণ এবং গেজেট জারির সুপারিশ করে তা সরকারের কছে পাঠানো কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিপরিষদ কমিটির আহ্বায়ক, তথ্য সচিব, শ্রম সচিব, নবম ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়
Discussion about this post