নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে হাওর অঞ্চলের বোরো ধান দ্রুত ঘরে তুলতে, সনাতন পদ্ধতীর বাইরে যান্ত্রীক পদ্ধতী ব্যাপকভাবে চালু হল। সুনামগঞ্জের হাওড়ের ২,১৯,৩০০ হেক্টর জমির আবাদ করা বোরা ধান কাটতে বরাদ্ধ দেওয়া হল ৩৩ টি হারভেস্টার মেশিন। তাই ফসল ঘরে তোলার কাজ চলছে বিরতহীনভাবে।
এবছর সুনামগঞ্জের হাওড়গুলিতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে ফসল কাটতে
শুরু করেছে কৃষকরা। তাই ফসল দ্রুত ঘরে তুলতে, হাওড়বাসীর জন্য সনাতন পদ্ধতীর বাইরে,
যান্ত্রীক পদ্ধতী চালু করা নির্দেশ প্রদান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এই নির্দেশের পর সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলার সব হাওড়রের ফসল দ্রুত ঘরে তুলতে ৩৩ টি হারভেস্টার মেশিন বরাদ্ধ পেয়েছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে ১৬টি মেশিন মাঠে ধানকাটার কাজে লাগানো হয়েছে, বাকী মেশিনগুলি দ্রুত মাঠে নামবে বলে নিশ্চিত করেছে কৃষি বিভাগ।
কৃষকরা মেশিন পেয়ে আনন্দিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন। করোনা পরিস্থিতিতে লোকজনের অপ্রতুলতার মাঝে, প্রধানমন্ত্রীর সহয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।কৃষকরা জানান, এই মেশিনে কম সময়ে এবং কম খরচে প্রচুর ধান কাটা যায়।
মেশিনে ধান কাটার বিষয়টি তদারকি করছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সুনামগঞ্জ সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, যত দ্রুত কৃষকের ফসল ঘরে তুলে দেওয়া যায়, ততই কৃষকের হাহাকার থাকবেনা, নিজেরা স্বাবলম্বী হবে। তাঁরা হতাশা ও খাদ্য সংকঠে ভোগবেনা।
হাওড়বাসী কৃষকের জন্য প্রধনামন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরও হারভেস্টার মেশিন পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা।
করোনায় সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছেন হাওড় অঞ্চলের কৃষকরা।
অন্যদিকে নেত্রকোনা, নওগা, ময়মনসিং সহ দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার হাওরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মধ্যে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হচ্ছে।
কৃষি যন্ত্রপাতিতে সহায়তা বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সেলের তত্ত্বাবধানে পরিচালক বাজেটের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে সরকারি ৫০% ভর্তুকি মূল্যে কৃষকের মাঝে ধান/গম কাটা ও মাড়াইয়ের জন্য এই কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করা হয়।
Discussion about this post