মোহাম্মদ মহসিন খান নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ঢোকার বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘন্টা চেকপোস্ট বসিয়ে বহিরাগত ঠেকাতে সার্বক্ষনিক পাহারায় রয়েছে নাগরপুর থানার পুলিশ সদস্যরা।
এছাড়াও হাটে-বাজারে চলছে নিয়মিত নজরদারি, সচেতনতায় মাইকিং, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় ডাক্তার ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কাজ করে যাচ্ছে তারা। কৌশলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার বাইরে থেকে কেউ চলে আসলে প্রশাসনের সাথে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বহিরাগতদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকা নিশ্চিত করছে৷ জরুরি সেবা দানকারী যানবাহন ছাড়া সকল প্রকার যানবাহনের প্রবেশ বন্ধ করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং সকল যানবাহনে তল্লাশি ও জিজ্ঞেসাবাদ করছে বলে জানিয়েছেন তারা। আজ ১৭এপ্রিল বিকেলে সরেজমিনে উপজেলার ভারড়া খোরশেদ মার্কেটের চেকপোস্টে থাকা নাগরপুর থানার এসআই মো. সাইফুদ্দিন মাহমুদ এর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিনিয়তই মানুষ বিভিন্ন ভাবে উপজেলায় প্রবেশের চেষ্টা করছে।
এদের কেউ বা যানবাহনে করে আবার কেউ চেকপোস্ট দেখে পায়ে হেঁটে। আমরা নাগরপুরের সুরক্ষাআপোশহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের অপ্রতুল সদস্যের কারনে হয়তো কেউ কেউ নদীর চর বা ক্ষেতের আইল দিয়ে পায়ে হেঁটে কৃষকের ছদ্মবেশে চলে আসে। তবে আমাদের দৃষ্টিসীমা অতিক্রম করে উপজেলার বাইরে থেকে জরুরি প্রয়োজনের যানবাহন ছাড়া কেউই ঢুকতে পারছে না। এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, উপজেলার জনসংখ্যার নিরাপত্তায় দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছে আমাদের ৬৫ জন পুলিশ সদস্যরা। আমি নিজে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাটে-বাজারে নিয়মিত নজরদারি করছি। গণজমায়েত থাকলে তা নিরসন করছি। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আমরা নাগরপুরের কাঁচা বাজার সরকারি কলেজের মাঠে স্থানান্তরিত করেছি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করতে সবাইকে নিরাপত্তা দিয়ে ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে এবং আইন শৃংখলা ঠিক রাখতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। কারন এলাকার সকল মানুষ সচেতন না। এ ছাড়া গুরুত্ব অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ গ্রহন করে থাকি। তাই অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতে আমাদের একটু সময় লেগে যাচ্ছে। সবার কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারা সরকারের নির্দেশনা মেনে চলুন। ঘরে থাকুন। আসুন আমরা সবাই মিলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করি।
Discussion about this post