প্রধানমন্ত্রী করোনারোধে ব্যবস্থার সহায়ক সচেতনতা সরকারী নির্দেশনা

করোনারোধে প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক ব্যবস্থার সাথে জরুরী যে বিষয়টি প্রয়োজন, সেটি হলো সচেতনতা। সরকারী নির্দেশনা ও বিশেষজ্ঞজনদের দেখানো পথ অনুসরণ করে সচেতনভাবে দিনাতিপাত করা গেলে করোনা প্রতিরোধ সম্ভব বলে দাবী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সোমবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে দেশের আট জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই এপ্রিল মাসটা একটু কঠিন হবে। আগেই বলেছিলাম এই মাসে সাবধানে থাকতে হবে। যেখানে যখন প্রয়োজন লকডাউন করা হচ্ছে। দেশের কথা মানুষের কথা চিন্তা করে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। মানুষ যেন সংক্রামিত না হয় সে জন্য সকল পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

 

ডাক্তার নার্সদের বিশেষ সুরক্ষা সরঞ্জাম সবাই ব্যবহার করলে সংকট সৃষ্টি হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহার করলে ডাক্তারদের দেব কিভাবে? ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া এগুলো কেউ ব্যবহার করবেন না।

 

তিনি বলেন, সারা বিশ্ব আজ আতঙ্কিত। বিশ্বে অতীতে এই পরিস্থিতি হয়নি। ২৫০ কোটি মানুষ ঘরবন্দী। এমনকি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো ঠিক রাখতে আমরা কৃষির দিকে বেশি নজর দিচ্ছি। আমাদের মাটি আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি আবাদি জমিও খালি না থাকে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে উৎপাদন করুন।

 

ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।