করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ল্যাবের কার্যক্রম শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু)।
বৃহস্পতিবার বিকালে ল্যাবের উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও সিভাসুর ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের শনাক্ত করার কাজ শুরু হবে শনিবার থেকে।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে করবে এবং বিআইটিআইডি থেকে পাঠানো নমুনা পরীক্ষা করা হবে সিভাসুর এ ল্যাবে।
সিভাসু থেকে জানানো হয়, তাদের ল্যাবে একটি পিসিআর মেশিনে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পর্যাপ্ত টেস্টিং কিট পাওয়া গেলে এ ল্যাবে প্রতিদিন ২০০-২৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
সিভাসু ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসটিসি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মাস্টার্স, ইন্টার্ন ও পিএইচডি লেভেলের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত ৪০ সদস্যের একটি দল এ ল্যাবে কাজ করবে। ছয়জন করে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে তারা পালা করে কাজ করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সিভাসুতে ল্যাব প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রামে আগের চেয়ে বেশি করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে।
বর্তমানে ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে শুধু করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য নমুনা পরীক্ষা হয়ে আসছিল। এ ল্যাবে চট্টগ্রাম ছাড়াও বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নমুনা পরীক্ষা করা হয়। প্রতিদিন গড়ে শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয় এখানে।
এটি স্থাপনের পর থেকে বুধবার পর্যন্ত ১৮৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৫ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
এর বাইরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে আরও একটি ল্যাব স্থাপন হচ্ছে। ঢাকা থেকে পিসিআর মেশিন এসে পৌঁছালেও এখনও তা স্থাপনের কাজ শেষ হয়নি।
Discussion about this post