গতকাল চট্টগ্রামে আরও দুজন করোনা শনাক্তের ঘটনায় নগরীর হালিশহর থানাধীন শান্তিবাগ ও চুনা ফ্যাক্টরি মোড়ের ৪টি ভবন লকডাউন করে দিয়েছে নগর পুলিশের বিশেষ শাখা (সিটিএসবি)।
রোববার ২৬ এপ্রিল বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিটিএসবির উপ-কমিশনার আব্দুল ওশারিশ। তিনি বলেন, আগ্রাবাদের শান্তিবাগ আবাসিক এলাকার ১ টি ও হালিশহর চুনা ফ্যাক্টরি মোড়ের ৩ সহ মোট চারটি ভবন লকডাউন করা হয়। শনিবার (২৫) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কতৃক উক্ত দুটি এলাকার দুজন করোনা রোগী শনাক্তের বিষয়টি ঘোষণা করার পরই উক্ত চারটি ভবন লকডাউন করা হয়।
এখন থেকে শান্তিবাগ ও হালিশহরের উক্ত চারটি ভবনে প্রবেশ ও বের হওয়া বন্ধ। কেউ প্রবেশ বা বের হতে চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ভবন চারটির সামনে সবসময় থাকবেন।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শান্তিবাগে যার বাসা তিনি ব্যবসায়ী। নগরীর তিন পুলের মাথায় ইলেকট্রিক আইটেমের দোকান আছে তার । গত ২৫ মার্চ থেকে দোকান বন্ধ আছে। আক্রান্ত আরেকজন জনতা ব্যাংকের সীতাকুণ্ডের একটি ব্রাঞ্চের সহকারী ব্যবস্থাপক। তিনি ৭ এপ্রিল সর্বশেষ অফিসে গিয়েছিলেন।
এদিকে, নগরীর সদরঘাট থানাধীন কমিশনার গলিতে নতুন একজন করোনা রোগী শনাক্তের ঘটনায় মমতা নামের একটি ৫ তলা ভবন লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপ-কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, নারায়ণগঞ্জ ফেরত একজন রোগী সদরঘাট এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্য সিভিল সার্জন মারফত জানা যায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মমতা নামের ওই ভবনটি লকডাউন করা হয়। এছাড়াও ওই রোগীকে আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিভাবে এই করোনারোগী নারায়ণগঞ্জ থেকে এখানে আসলো তা বলতে পারবো না।
উল্লেখ্য, নগরীতে করোনা রোগীর সংখ্যা দাড়িয়েছে মোট ২৯ জনে। নগরীর ১৬ থানা এলাকার মধ্যে বর্তমানে ১০ টি থানা এলাকা-ই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী রয়েছে পাহাড়তলী, আকবরশাহ ও খুলশী থানা এলাকায়। পাহাড়তলীতে ১১ জন, আকবরশাহতে ৪ জন ও খুলশীতে ৫ জন। বাকী সাতটি থানা এলাকার মধ্যে হালিশহর ও চকবাজার এলাকায় ২ জন করে এবং চান্দগাঁও, বায়েজিদ, কোতোয়ালি, পাঁচলাইশ ও বন্দরে ১ জন করে করোনা রোগী আছেন।
Discussion about this post