ব্যাংক কর্মকর্তা,বিয়ের পিঁড়িতে গুণতে হল জরিমানা চট্টগ্রামে”

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে অঘোষিত লকডাউন। বন্ধ রয়েছে অফিস, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে সরকার। দেশের এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন না মেনে ঢাকা থেকে এসে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে এক ব্যাংক কর্মকর্তা।

 

শুক্রবার (১ মে) দুপুর ২ টায় বোয়ালখালী উপজেলার কদুরখীল ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পান উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর ও পুলিশের সদস্যরা। লকডাউন না মেনে ঢাকা থেকে এসে হোম কোয়ারান্টাইনে না থেকে আশেপাশের এলাকায় ঘোরাঘুরিসহ সকল নিষেধ অমান্য করায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, ঢাকায় এক্সিম ব্যাংকে কর্মরত সিনিয়র অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ কদুরখীল ইউনিয়নের সি ওয়ার্ডের নুর আহমদ জমাদার বাড়ির বাসিন্দা। গত ২৭ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে তার নিজ বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায় আসেন।

 

ঢাকা থেকে আসার পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ১৪ দিন তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিলেও সে হোম কোয়ারেন্টাইন না মেনে আশেপাশের এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে এবং (শুক্রবার) বিবাহ করে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারসহ সকলে নিষেধ করলেও ব্যাংক কর্মকর্তা সকল নিষেধ অমান্য করে।

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার গত ২৬ তারিখ থেকে সাধারন ছুটি ঘোষণা করে জনসাধারণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করে। এছাড়াও ১৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক আদেশে সংক্রামক রোগ(প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মুল) আইন ২০১৮ মোতাবেক সারাদেশকে সংক্রামক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে এবং নিত্য প্রয়োজনীয়

 

পণ্য ছাড়া এক স্থান থেকে আর এক স্থানে চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তি ঢাকা থেকে একাধিকবার যাওয়া আসা করার ও নতুন বিয়ে করে স্ত্রীকে ঘরে নিয়ে অভিযোগ স্বীকার করেন। আইন ও সরকারের নির্দেশ অমান্য করায় তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার নির্দেন দেওয়া হয়।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১৮ বীর ব্যাটেলিয়নে নেতৃত্বে থাকা ক্যাপ্টেন মুবিন,বোয়ালখালী থানা এস আই সৈয়দ মাহফুজসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি।